মুখ্যমন্ত্রীর ফোনের পরেই অর্থ বিলে অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই সঙ্গে টুইট করে জানিয়েছেন, যা যা বকেয়া বিষয় আছে, তা সাত দিনের মধ্যে মেটানোর আশ্বাস মিলেছে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের থেকে।
বুধবার সকাল থেকেই এ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের একটা টানাপড়েন চলছিল। কারণ, আজ বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ আর্থিক বছর শেষ হচ্ছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বাজেটের অর্থবিল পাশ না হলে বেতন-সহ বহু বিষয় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এই অবস্থায় এ দিন দার্জিলিং থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন যায় রাজ্যপালের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথার পরে রাজ্যপাল বিলে
সই করেন।
এ দিন রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে নথি-সহ আলোচনা করেন তাঁরাও। যদিও প্রশাসনিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই জানাচ্ছেন, অর্থ বিল নিয়ে কিছু জানতে চাইতেই পারেন রাজ্যপাল। কিন্তু তা আটকে রাখার নজির নেই। কারণ, নতুন বছরের সরকারের আর্থিক পরিচালনা আটকে যাওয়া সম্ভব নয়। সেটা একটা বেনজির পরিস্থিতি হবে। রাজ্যপালের একই কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও।