নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে এনে বিপাকে সুকান্ত
কুমারগঞ্জের ধর্ষিতার নাম প্রকাশ্যে আনা উচিত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়তেই শুক্রবার ভুল স্বীকার করে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট যারা চালায়, তারা ভুল করেছিল। এটা (ধর্ষিতার নাম-পরিচয়) দেওয়া যায় না। আমি সঙ্গে সঙ্গে নাম তুলে নিতে বলেছি।’’
রাজ্যে বিগত কয়েক মাসে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করে আইন-শৃঙ্খলায় অবনতির প্রশ্নে রাজ্য সরকারকে ক্রমাগত বিঁধছে বিজেপি। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতরের আবহে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরে এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে শুক্রবার সকালে একটি টুইট করেছিলেন সুকান্ত। অভিযোগ, ওই টুইটে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন তিনি। যা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। কারণ আইন অনুযায়ী, নির্যাতিতার নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে আনা যায় না।
এই ঘটনায় বিতর্ক দানা বাঁধতেই টুইটটি মুছে দেন সুকান্ত। পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে। এটা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত, ভুল। আমার টুইটার অ্যাকাউন্টটি যিনি দেখেন, তাঁকে জানিয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গেই তা সংশোধন করা হয়েছে। এ রকম ঘটনা কখনই কাম্য নয়।’’ শুক্রবার তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। পুজো দেওয়ার পর বেরিয়ে নাম না করে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেন, ‘‘রাজ্যে যে ভাবে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তাতে মা-বোনেরা সুরক্ষিত নন। মা-বোনেদের সুরক্ষা চাওয়ার জন্যই মা তারার কাছে আজ পুজো দেওয়া।’’
বৃহস্পতিবার রাতে কুমারগঞ্জ ব্লকের সোমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বারোমাসা এলাকার জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় এক আদিবাসী মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ। পরিবার সূত্রে দাবি, ঘটনার দিন দুপুর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বহু জায়গায় খোঁজ করা হলেও হদিশ পাওয়া যায়নি। এর পর বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় দেহ। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তদন্তকারীদের অনুমান, ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্যই খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে।