বসন্তোৎসব। শ্রীরামপুরে।—নিজস্ব চিত্র।
কোথাও মুঠো মুঠো আবির আকাশে উড়িয়ে শুরু হল গান ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল...’।
কোথাও ‘রং বরষে...’।
শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে ‘হুগলি জেলা বসন্ত মিলনোৎসব’ আয়োজিত হয় রমেশচন্দ্র দেব স্মৃতি রক্ষা সমিতির উদ্যোগে প্রভাতফেরির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তার পরে নাচ, গান, নাটক-সহ ছিল নানা অনুষ্ঠান। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য ক্যালেন্ডার এবং বই প্রকাশিত হয়। মাহেশ কলোনির যুবকিশোর সঙ্ঘ ও শুকতারা সব পেয়েছির আসরের উদ্যোগেও শোভাযাত্রা বের করা হয়। জিটি রোড হয়ে বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রম করে ওই শোভাযাত্রা। রিষড়া বসন্ত উৎসব উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগেও সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় ব্রহ্মানন্দ স্কুলের সামনে থেকে। সেখানে দু’দিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। প্রথম দিন সমবেত নৃত্য, গৌড়ীয় নৃত্য, ভরতনাট্যম, কত্থক, যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশিত হয়। শুক্রবার ছিল সঙ্গীত, শ্রুতিনাটক-সহ নানা অনুষ্ঠান। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অনুষ্ঠানে সামিল হন। হাওড়ার কোনায় ‘ঘুঙরু’ নৃত্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে রবীন্দ্রনাথের বসন্তের গানের সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছিল সমবেত নৃত্যের। ছড়িয়ে যায় বসন্তের আগমন বার্তা। নাচের ফাঁকেই শুরু হয় আবির খেলা। শ্যামপুরের পিছলদহে শ্রীমহাপ্রভু ট্রাস্টের উদ্যোগে দোল শুরু ১ মার্চ থেকে। অধিবাস, চোদ্দো মাদল সহ নগর পরিক্রমা, নামযজ্ঞ হয়। জগৎবল্লভপুরে নস্করপুর নয়াপাড়াতেও রাধাকৃষ্ণের আটচালায় উৎসবের আয়োজন করে মহাপ্রভু বারোয়ারি কমিটি। এখানেও অনুষ্ঠান শুরু ১ মার্চ। পাঁচলার দেউলপুরে আবার বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে যায় ‘দোল মেলা’। সূর্যমুখী আশ্রমের উদ্যোগে ও সানরাইজ ফুটবল ক্লাবের পরিচালনায় ওই মেলা চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত। আশ্রমকে ঘিরে ২৬টি স্টলে রামায়ণ-মহাভারলতের চরিত্র মাটির মডেলে তুলে ধরা হয়েছে।