শ্রীরামকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথিতে উৎসব
শ্রীরামকৃষ্ণের ১৮০ তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনের উৎসব হয়ে গেল আন্দুলের ঝোড়হাট শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রমে। ভক্তিগীতি, বাউল, ধর্মসভা, গীতি-আলেখ্য এবং শ্রীরামকৃষ্ণকে নিয়ে আলোচনার আসর ছিল আকর্ষণীয়। উৎসবের উদ্বোধন করেন গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী দিব্যরূপানন্দ। শ্রীরামকৃষ্ণের উপরে বক্তব্য রাখেন বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী স্বামী দিব্যগুণানন্দ, বাগবাজার রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী বিশ্বনাথানন্দ, সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আশ্রম সম্পাদক সত্যরঞ্জন দাস।
বিবাদ নিষ্পত্তি, কেন্দ্র চালু
মামলা-মোকদ্দমায় না গিয়ে সাধারণ মানুষ মূলত পারিবারিক বিবাদ নিয়ে যাতে নিখরচায় আইনি পরামর্শ পান এবং তার দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সে জন্য শ্রীরামপুর আদালতে চালু হল ‘বিবাদ নিষ্পত্তি কেন্দ্র’ (অলটারনেটিভ ডিসপিউট রেজোলিউশন সেন্টার)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে ওই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। ভবনটি ঘুরেও দেখেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের লিগ্যাল এইড ফোরামের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। প্রধান বিচারপতি উপস্থিত আইনজীবীদের পরামর্শ দেন, নতুন এই কেন্দ্রে লিগ্যাল এইড নিযুক্ত বিভাগীয় পদাধিকারীরা থাকবেন। তাঁরাই এই কেন্দ্রে আগত লোকজনকে পরামর্শ দেবেন, যাতে তাঁরা সমস্যা মিটিয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে এই কেন্দ্রের ভূমিকা হবে মধ্যস্থতাকারীর। আইনজীবীরা জানান, অনেক সময়ে ছোটখাটো সমস্যা মামলার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে বহু সময় গড়িয়ে যায়। সেই কারণেই আইনি চৌহদ্দির মধ্যে থেকেই বিবদমান দু’পক্ষকে এক সঙ্গে বসিয়ে আলোচনা করাই হচ্ছে এই কেন্দ্রের উদ্দেশ্য। হুগলি জেলায় শ্রীরামপুরই হল বিবাদ নিষ্পত্তি কেন্দ্রের মূল ভবন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই পর্যায়ক্রমে এই ধরনের কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
নারী দিবস উদ্যাপন
নারী দিবস উপলক্ষে গত রবিবার আমতার গুজারপুরে কৃষ্টি আর্ট অ্যাকাডেমির আয়োজনে মহিলাদের আলপনা এবং সর্বসাধারণের জন্য হাতের লেখা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। গুজারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওই প্রতিযোগিতায় শতাধিক নারী-পুরুষ সামিল হন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল নাচ, গান, আবৃত্তি এবং মহিলা ও পুরুষদের দু’টি শ্রুতিনাটক। এই উপলক্ষে অলোক দেয়াশী সম্পাদিত ‘পদক্ষেপ’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া, ‘ধানসিঁড়ি’ পত্রিকার উদ্যোগে ওই দিন খালোড় আপনজন ভবনে গল্প, প্রবন্ধ এবং স্বরচিত কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়। ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস নিয়ে আলোচনাও। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পত্রিকার সম্পাদক অতনু মণ্ডল।
চক্ষুদান নিয়ে সচেতনতা সভা
মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার নিয়ে সচেতনতা সভা হয়ে গেল আমতার পীতাম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত ১ মার্চ ওই সভার উদ্যোক্তা ‘ভাবনা’ নামে একটি সামাজিক সংস্থা। সংস্থার সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার বলেন, “আমরা ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৫৬ জনকে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করাতে পেরেছি। সচেতনতা আরও বাড়লে আগামী দিনে এই অঙ্গীকারে বহু মানুষ এগিয়ে আসবেন।”
বিজ্ঞান মেলা
পুড়শুড়া হেতমচকে স্থানীয় প্রগতি সঙ্ঘের পরিচালনায় চার দিনের বিজ্ঞান মেলা শেষ হল বৃহস্পতিবার। সঙ্ঘের মাঠে আয়োজিত ওই মেলায় বিজ্ঞান সংক্রান্ত স্টল ছিল ২৪টি।