সিদ্ধার্থ দত্ত।
টিউশন থেকে পড়ে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ছাত্রের। শনিবার সকালে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার শ্রীরামপুর স্টেশনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম সিদ্ধার্থ দত্ত (১৬)। বাড়ি চন্দননগরের বাগবাজারে। সে ব্যান্ডেল ডন বস্কো স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে শ্রীরামপুরের মুখার্জিপাড়ায় টিউশন পড়তে গিয়েছিল সিদ্ধার্থ। বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন ধরতে সকাল ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ স্টেশনের পিছন দিকে (শেওড়াফুলি প্রান্ত) সিঁড়ি দিয়ে লাইন পেরিয়ে প্ল্যাটফর্মে উঠতে যাচ্ছিল। সেই সময় ডাউন ১ নম্বর লাইনে বর্ধমান-হাওড়া লোকাল ঢুকছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনটি যে কাছে চলে এসেছে, সিদ্ধার্থ বুঝতে পারেনি। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা চিৎকারও সে শুনতে পায়নি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ছেলেটির কানে মোবাইলের হেডফোন গোঁজা ছিল। সেই কারণে সে লোকজনের চিৎকার শুনতে পায়নি।
তবে শ্রীরামপুর স্টেশনের ওই অংশ দিয়ে বহু মানুষ প্রতিদিন প্ল্যাটফর্মে ওঠানামা করেন। কিন্তু জায়গাটি কার্যত অরক্ষিত। ওই অংশে অনেকেরই প্রাণ গিয়েছে ট্রেনের ধাক্কায়। গত জানুয়ারি মাসে ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যুর পরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়। তার পরে রেল পুলিশের তরফে যাত্রীদের সাবধান করার জন্য ওই জায়গায় নজরদারি শুরু হয়। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি যে কে সেই। ফলে সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পরে নিরাপত্তা নিয়ে সেই একই প্রশ্ন ফের তুলে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা গায়ত্রী পাল বলেন, ‘‘জানুয়ারিতে একটা ঘটনা নিয়ে হইচই হওয়ার পরে কিছু দিন পুলিশকর্মীরা পাহারায় থাকতেন। এখন আর দেখা যায় না।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন শ্রীরামপুর স্টেশনের ওই অংশে একটি সাবওয়ে তৈরির পরিকল্পনা নেয় রেল। প্রকল্পের শিলান্যাসও হয়। কিন্তু কাজ হয়নি। শহরবাসীর ক্ষোভ, সাবওয়ে তৈরি বা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ওই জায়গায় যত দিন না হচ্ছে, তত দিন দুর্ঘটনাও এড়ানো যাবে না।