প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অরক্ষিত এটিএম ভেঙে ফের চুরির চেষ্টা হল হাওড়ায়। এ বার ঘটনাটি ঘটেছে চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার বেলেপোল মোড়ের কাছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, এটিএম ভাঙলেও টাকার ভল্ট ভাঙতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। সারা রাত যে রাস্তা দিয়ে অসংখ্য ট্রাক ও লরি চলে, সেখানে কী করে এটিএম লুটের চেষ্টা হল, তা ভেবে পাচ্ছে না পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার লোকজন ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের পাশে ওই এটিএমে টাকা ভরতে এসে দেখেন, শাটার অর্ধেক নামানো। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা শাটার তুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, এটিএম ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। নীচের অংশ অনেকটাই ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা চ্যাটার্জিহাট থানায় খবর দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএম ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা হলেও শেষ পর্যন্ত ভল্ট ভাঙতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। তদন্তকারীদের ধারণা, সোমবার শেষ রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের এক জন এটিএমের ভিতরে ঢুকে সেটি ভাঙার চেষ্টা করে। বাকি কয়েক জন বাইরে পাহারায় ছিল। ভিতরে যে ঢুকেছিল, সে ভল্ট ভাঙতে না পারলেও এটিএম কাউন্টার ভেঙে তছনছ করে দেয়। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি বিশেষ দল এটিএম-টি পরীক্ষা করে দেখেন।
গত কয়েক মাস ধরে জগদীশপুর, লিলুয়া, হাওড়া শহর-সহ বেশ কিছু জায়গার এটিএম থেকে টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে মাত্র দু’একটি ঘটনারই কিনারা করতে পেরেছে পুলিশ। কয়েক জন গ্রেফতারও হয়। বাকি কোনও ঘটনারই কিনারা হয়নি। ফের চ্যাটার্জিহাটের এই ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এটিএম লুটের চেষ্টার ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘সিসি ক্যামেরার কিছু ছবি আমরা পেয়েছি। আশা করছি, খুব দ্রুত দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে যাবে।’’