মহিলা থানা চালু উলুবেড়িয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া
একজন মাত্র সাব ইন্সপেক্টর নিয়েই চালু হয়ে গেল মহিলা থানা। সোমবার হাওড়া গ্রামীণ জেলার উলুবেড়িয়ায় মহিলা থানার উদ্বোধন করলেন কারা দফতরের মন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি। তিনি জানান, এই নিয়ে রাজ্যে ২০টি মহিলা থানা চালু হল। উলুবেড়িয়া থানার কাছেই এই মহিলা থানায় আপাতত যাঁকে সাব ইন্সপেক্টর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে তিনিই ওসি-র দায়িত্ব সামলাবেন। এ ছাড়া রয়েছেন ১০ জন মহিলা কনস্টেবল এবং ১০ জন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, আগামী দিনে এই থানায় আরও মহিলা অফিসার নিয়োগ করা হবে। এ দিন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সঙ্গে হাজির ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি (পিআর) সুব্রত মিত্র, জেলা পুলিশ সুপার ভরতলাল মীনা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রকুমার চক্রবর্তী, উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শ্যামলকুমার সামন্ত, তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক পুলক রায়, নির্মল মাজি প্রমুখ।-সুব্রত জানা।
স্ত্রী-কে খুনে অভিযুক্তের আত্মসমর্পণ
বি-টেক পড়ুয়া স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনে অভিযুক্ত যুবক আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। শচীন মণ্ডল নামে ওই যুবক হুগলির রিষড়ার বাগখালে নিজের আবাসনেই স্ত্রী রাধাকুমারীকে এক মাস আগে খুন করে বলে অভিযোগ। তার পরে দরজায় তালা দিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) সুবিমল পাল বলেন, “ওই যুবক অভিযোগ স্বীকার করেছে।” পুলিশ জানায়, আদতে দেওঘরের বাসিন্দা শচীন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বাগখালে একটি কারখানায় কাজ পায়। সেখানেই একটি আবাসনে থাকত। রাধার বাড়ি বোকারোয়। তিনি সল্টলেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বি-টেক পড়তেন। মাস সাতেক আগে দু’জনের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। প্রতি শনিবার রাধা স্বামীর আবাসনে আসতেন। সোমবার সকালে সল্টলেকে ফিরতেন। শচীনের ঘরে এক যুবক থাকতেন। তিনি শনিবার নিজের বাড়ি চলে যেতেন। সোমবার ফিরতেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বামীর ফ্ল্যাটে এসেছিলেন রাধা। ১৭ তারিখ শচীনের রুমমেট এসে দেখেন, ঘরের দরজা তালাবন্ধ। নিজের কাছে থাকা অন্য চাবিতে দরজা খুলে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় রাধার দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। তিনি পুলিশে খবর দেন।
প্রৌঢ়াকে খুন, ধৃত
এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনে তাঁর মাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে দাদপুরের কেলোরপাড় গ্রামের বাসিন্দা ভারতী মণ্ডল (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়াকে খুন করা হয়। সোমবার রাতে দাদপুরেরই এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় জাহাঙ্গির বাদশা ওরফে ভেকেল নামে অভিযুক্তকে। তার বাড়ি ওই থানা এলাকারই পোপাই গ্রামে।