ট্রান্সফর্মার ফেটে জখম
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যান্ডেল
রেলের ওয়াগন তৈরির কারখানার নিজস্ব বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের ট্রান্সফর্মার ফেটে গুরুতর জখম হলেন এক ইঞ্জিনিয়ার ও দুই শ্রমিক। শনিবার বিকেলে ব্যান্ডেলের সাহাগঞ্জে জি টি রোডের ধারে ওই বেসরকারি কারখানায় এই দুর্ঘটনার পরে আহত জামির হোসেন নামে ওই ইঞ্জিনিয়ার এবং শ্রমিক জয়দেব দাস ও জানা হেমব্রমকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জামির হোসেনের নেতৃত্বেই ওই মেরামতির কাজ চলছিল। ট্রান্সফর্মারটি সারানোর পরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ামাত্র তা ফাটে। ট্রান্সফর্মারের গরম তেল ছিটকে ওই তিন জনের গায়ে লাগে। তাঁদের শরীরের অনেকটা ঝলসে যায়। ট্রান্সফর্মারটি জ্বলতে থাকে। শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন যায়। কারখানার এক কর্তা বলেন, “বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ট্রান্সফর্মারটি ফেটে যায়। তার ভিতরের তেল ছিটকেই আমাদের তিন জন আহত হন।”
ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
ঘরের জানলার গ্রিল থেকে গলায় দিদির ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওড়ার শ্যামপুরের কালীদহ এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম অর্ণব পাঁজা (১৪)। পুলিশের দাবি, অর্ণবের বাবা নিতাইবাবু জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। সেই কারণে সে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্ণব কালীদহ অক্ষয়কুমার হাইস্কুলে পড়ত। ওই সন্ধ্যায় তার বাবা-মা বাজারে গিয়েছিলেন। অর্ণবের দিদি স্কুল থেকে ফিরে দেখে বাড়ির দরজা বন্ধ। ভাইকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে সে পাঁচিল টপকে উঠোনে ঢোকে। ঘরের জানলা ঠেলতেই সে ভাইকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে আসে। চলে আসেন পড়শিরাও। সকলে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। পুলিশ দেহটি নামিয়ে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।