COVID Vaccine

উলুবেড়িয়ায় টিকার ভাঁড়ার প্রায় খালি

জোগানের অভাবে আজ, শুক্রবার আদৌ কেউ টিকা পাবেন কিনা, এ সংশয়ও তৈরি হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২১ ০৫:০৪
Share:

দীর্ঘ: ভ্যাকসিন নেওয়ার ভিড় উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে। মানা হল না দূরত্ববিধি। ছবি: সুব্রত জানা

পর পর দু’দিন। উলুবেড়িয়ায় বুধবারের মতোই হাতেগোনা কয়েকজন করোনা ভ্যাকসিন পেলেন বৃহস্পতিবার। জোগানের অভাবে আজ, শুক্রবার আদৌ কেউ টিকা পাবেন কিনা, এ সংশয়ও তৈরি হল।

Advertisement

উলুবেড়িয়া পুরসভার অধীন চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিন না-থাকার জন্য তিনটি কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র চেঙ্গাইল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ হচ্ছিল। সেখানে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে কয়েকশো মানুষ লাইন দেন। কিন্তু মাত্র দু’শো জনকে টিকা দেওয়ার পরেই ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যায়। বাকিদের হাতে কুপন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জানানো হয়, সেই কুপন দেখিয়ে পরে তাঁরা ভ্যাকসিন পাবেন। যদিও, পরবর্তী টিকাকরণ কবে হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের মধ্যেই। কারণ, গোটা জেলাতেই ভ্যাকসিনের জোগান কমতে কমতে তা নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। এ দিন জেলায় ভ্যাকসিন আসেনি।

এ দিন উলুবেড়িয়া-২ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে টিকাকরণ হচ্ছিল। বহু মানুষ লাইন দিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ১০০ জনকে টিকা দেওয়ার পরে ভ্যাকসিনের অভাবে বাকিদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের ভাগ্যে কুপনও জোটেনি।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে আজ, শুক্রবার টিকাকরণ আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা পরিষ্কার করে কিছু জানাতে পারেননি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাসের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভ্যাকসিন আসেনি। ভ্যাকসিন এলেই দেওয়া হবে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’’

হাওড়ায় ভ্যাকসিনের জোগানের এই অপ্রতুলতা গত কয়েক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে। এখানে দৈনিক ২৫ হাজার টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেন স্বাস্থ্যকর্তারা। খোলা হয় ২৩২টি কেন্দ্র। প্রথম দিকে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাচ্ছিল। কিন্তু কিছু দিন পর থেকেই ভ্যাকসিনের জোগান কমতে থাকে। প্রথমে সেই জোগান সীমাবদ্ধ ছিল চাহিদার তুলনায় অর্ধেকে। সপ্তাহখানেক ধরে তা নেমে আসে চাহিদার কুড়ি শতাংশে। বৃহস্পতিবার ভাঁড়ার শূন্য।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাঁদের মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে নির্দিষ্ট দিনে টিকা নেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। যে যাঁর নির্ধারিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ভোর থেকে লাইন দেন। বেলা বাড়ার পরে কয়েক জনকে টিকা দেওয়ার পরেই জানিয়ে দেওয়া হয়, ভ্যাকসিন শেষ। ফলে, বাকিদের ফিরে আসতে হয় টিকা না নিয়েই। অনেক কেন্দ্র আবার নোটিস ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালে টিকাকরণের দায়িত্বে থাকা এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, ‘‘কবে টিকাকরণ হবে, কোনও ঠিক নেই। কিসের ভিত্তিতে কুপন দেব?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement