—প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজোয় এ বার অসুর ডেঙ্গিই। বৃহস্পতিবার হাওড়া শরৎ সদনে সমন্বয় বৈঠকে তাই পুজোর উদ্যোক্তাদের ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা প্রচারের উপরেই জোর দিতে বলল জেলা প্রশাসন। পুজোর পরে মণ্ডপগুলি যাতে ডেঙ্গির মশার লার্ভা জন্মানোর জায়গায় পরিণত না হয়, সে দিকেও সতর্ক নজর রাখতে বলা হয়েছে তাঁদের।
পুজোর আগে হাওড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাওড়া সিটি পুলিশ আয়োজিত এ দিনের বৈঠকে জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি তাই বলেন, ‘‘পুজোর পরে ফাঁকা মণ্ডপগুলির বাঁশের ভিতরে বা বাঁশ তুলে নেওয়ার পরে মাটির গর্তে যাতে মশা না জন্মায়, তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’’ তিনি জানান, প্রশাসন থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প-সহ ডেঙ্গি নিয়ে প্রচারের জন্য ব্যানার, পোস্টার দেওয়া হবে পুজো মণ্ডপে লাগানোর জন্য। মণ্ডপে যাতে মশার লার্ভা না জন্মায়, সে জন্য মণ্ডপ পরিষ্কার রাখার কথা বলেন হাওড়ার নগরপাল প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী। হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মণ্ডপের ভিতরে আবর্জনা ফেলার পাত্রের ব্যবস্থা রাখতে বলেছি উদ্যোক্তাদের, যাতে মণ্ডপ পরিচ্ছন্ন থাকে।’’
ডেঙ্গি ছাড়াও এ দিনের বৈঠকে হাওড়া সিটি পুলিশ কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। পুজোর গাইড ম্যাপও প্রকাশ করা হয়। হাওড়া সিটি পুলিশের উপ-নগরপাল (সদর) অলকানন্দা ভাওয়াল জানান, পুজোয় হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ৫০০টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। শহর জুড়ে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুলিশ, জেলাশাসকের দফতর ও হাওড়া পুরসভায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম থাকবে। ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, বেলুড় মঠের স্বামী মুক্তিশানন্দও বক্তব্য রাখেন।