প্রতীকী ছবি।
রাতে দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া। এর পর সকালে বাথরুমে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হলেন স্বামী। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। স্বামীর মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রীও। বুধবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির বাঁশবেড়িয়ার মহাকালীতলায়।পরিবার সূত্রে খবর, আত্মঘাতী স্বামী ও স্ত্রীর নাম অর্ক ভট্টাচার্য (৩১) ও ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য (২৬)। বছর তিনেক আগে অর্কের সঙ্গে শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ঋতুপর্ণার বিয়ে হয়। অর্ক পরিবহন দফতরের কর্মচারী ছিলেন। হাওড়া বাস ডিপোতে কাজ করতেন তিনি। বিয়ের কিছু দিন পরেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। তার পর থেকে বাড়িতে বাবা অনিল ভট্টাচার্য ও স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। অর্কের জ্যাঠতুতো দিদি পিঙ্কি ভট্টাচার্য জানান, মঙ্গলবার রাতে অর্কের সঙ্গে ঋতুপর্ণা ঝগড়া হয়েছিল। দু’জনের কেউ রাতে খাওয়াদাওয়া করেনি। এর পর সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ঋতুপর্ণা ঘুম থেকে বাথরুমের দরজা খুলতে দেখে, ভিতরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে অর্ক। তাঁর ডাকাডাকিতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে অর্ককে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অর্ককে মৃত ঘোষণা করা হয়।
অর্কের পরিবার জানায়, মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছনোর পর দুপুর নাগাদ ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ঋতুপর্ণা। অনিলের কথায়, ‘‘ছেলে বউমার মধ্যে কী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে জানি না। ছেলে সকালে গলায় দড়ি দিল। আর তার পর বউমা। আমি পাশের ঘরে থাকি। তাও জানতে পারলাম না। ঋতুপর্ণাকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করছিলাম। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজায় লাথি মেরে ঘরে ঢুকে দেখি, ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছে। কী যে হল বুঝতে পারছি না! বড্ড একা হয়ে গেলাম।’’ অর্ক-ঋতুপর্ণার মধ্যে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, তা বলতে পারেননি পিঙ্কিও।
ঋতুপর্ণার মৃত্যুর পরেই পরিবারের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’জনের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।