Coronavirus

করোনা চিকিৎসার জন্য পৃথক ৯ ইউনিট হুগলিতে

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,  হুগলিতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট দু’টি এবং ২০ শয্যার সাতটি এমন ইউনিট গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত এপ্রিল মাসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:০৩
Share:

অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখা হয়েছে আরামবাগের বটলিং প্লান্টে।

কোভিড পর্বে জেলার বিভিন্ন স্তরের হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ড করে এই ভাইরাসে সংক্রমিতদের চিকিৎসা চলছিল। এ বার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ‘ইমার্জেন্সি কোভিড রেসপন্স প্যাকেজ’ (ইসিআরপি-২) তহবিলের অধীনে স্থায়ী কোভিড ইউনিট তৈরি হচ্ছে। নির্মাণ কাজ করছে পূর্ত (সামাজিক) দফতর। হুগলিতে এমন ন’টি ইউনিট হচ্ছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলিতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট দু’টি এবং ২০ শয্যার সাতটি এমন ইউনিট গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত এপ্রিল মাসে। রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ১০০ শয্যার কোভিড ইউনিট দু’টি হচ্ছে আরামবাগের প্রফুল্লচন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতাল এবং ফুরফুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ২০ শয্যার ইউনিটগুলি হচ্ছে পান্ডুয়া, চণ্ডীতলা, খানাকুল, জাঙ্গিপাড়া, তারকেশ্বর, পুরশুড়ার আঁকরি-শ্রীরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং গোঘাট-১ ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

খানাকুল গ্রামীণ এবং পুরশুড়া ব্লক হাসপাতাল সংলগ্ন জায়গায় ওই ভবনের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দুই বিএমওএইচ। জেলা পূর্ত (সামাজিক) দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘সব ক’টি কোভিড ইউনিটের কাজ দ্রুত শেষ করতে তৎপরতা শুরু হয়েছে। পুরশুড়া, খানাকুল, গোঘাট ইত্যাদি কয়েকটি জায়গায় ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, স্থায়ী ইউনিট গড়তে জেলায় সব মিলিয়ে ২৮ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রতিটি প্রকল্প অনুযায়ী ধার্য তহবিলের ২৫ শতাংশ টাকা গত অগস্ট মাসে দেওয়া হয়। বাকি টাকাও শীঘ্রই দেওয়া হবে জানিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর নির্দেশিকা এসেছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পৃথক কোভিড ইউনিট গড়তে বরাদ্দ হয়েছে ৩০৭ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। ১০০ শয্যার ইউনিট হবে মোট ১৬টি। এ ছাড়াও ৫০ শয্যার ৪টি এবং ২০ শয্যাবিশিষ্ট ১১৩টি ইউনিট হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement