স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
মিড ডে মিল রান্না হয় যে কাঠে, তার দাম না মেটানোর অভিযোগ তুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই রান্নাঘরে তালা দিয়ে দিলেন এক ব্যবসায়ী। সোমবার উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের জগন্নাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে বহুবার চেষ্টা করেও তিনি উত্তর পাননি। তাই বাধ্য হয়েই তালা বন্ধের সিদ্ধান্ত। তবে বিদ্যালয়ের অন্য এক শিক্ষিকা ওই কাঠের দাম মেটানোর আশ্বাস দিলে সমস্যা মেটে। এ দিন প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হন অভিভাবকরাও।
এ দিনের ঝামেলা নিয়ে উলুবেড়িয়া পূর্ব অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক নাজিয়া তাবাসুম বলেন, ‘‘ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
তবে প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘স্কুলের একটা নিয়ম রয়েছে। মাসে একবার ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা হয়। তখন সর্বত্র টাকা মেটানো হয়। ওই দোকানদারের ক্ষেত্রে কেন অন্যথা হল, জানি না। মনে হয়, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে স্কুলের বদনাম করতে এমন করা হয়েছে।’’
ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাঁধুনিরা জানান, গ্যাসের ব্যবস্থা থাকলেও কাঠের উনুনে রান্না করে মিড ডে মিল খাওয়া হয় পড়ুয়াদের। তাঁদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা অব্যবস্থার জন্যই এমন হাল। ওই কর্মীর ক্ষোভ, ‘‘রান্নার জন্য কোনও সরঞ্জাম রাখেনি। অনেক কম জিনিস দিয়ে রান্না করতে হয়। আশেপাশের বাগান থেকে পাতা কুড়িয়ে উনুন ধরাতে হয়। ফলে ধোঁয়ায় পুরো স্কুল ঢেকে যায়।’’
এ দিন বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে কাঠ ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন ভক্তারও ক্ষোভ, ‘‘গত কয়েক মাসের কাঠের টাকা পাই। এ বার টাকা না পেলে ফের তালা মারব।’’
প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উগড়ে দেন অভিভাবকদের একাংশও। মানসী মণ্ডল নামে এক অভিভাবিকা বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষিকা এক মাসের মধ্যে দু’-এক দিন স্কুলে আসেন। প্রধান শিক্ষিকাকে বদলি করে দেওয়া হোক।’’