ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন প্রসঙ্গে বারে বারে জরুরি অবস্থার কথা টেনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্য সরকারকে যে খোঁচা দিয়ে চলেছেন, তার কড়া জবাব দিল তৃণমূল। শাসক দলের প্রশ্ন, রাজ্যে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি থাকলে রাজ্যপাল কি প্রতি দিন সরকারের বিরুদ্ধে এত কথা বলে যেতে পারতেন? অবান্তর কথা বলে রাজ্যপাল জলঘোলা করতে চাইছেন বলেই অভিযোগ তৃণমূলের।
রাজ্যপাল এ বার জরুরি অবস্থার কথা টেনেছেন সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে। সম্প্রতি স্পিকার সম্মেলনে লোকসভার স্পিকারের উপস্থিতিতে এ রাজ্যের স্পিকার অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যপাল বিধানসভার কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। সেই অভিযোগ খণ্ডন করে রাজ্যপাল তাঁর চিঠিতে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কোন পরিস্থিতিতে কোন বিষয় তাঁর বিবেচনার জন্য এসেছিল এবং তিনি কী করেছেন। সেই সূত্রেই তাঁর অভিযোগ, গত বছর বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া জরুরি অবস্থার কথা মনে পড়িয়ে দেয়। ডানলপ অধিগ্রহণ বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি না আসা এবং গণপ্রহার প্রতিরোধ বিলে অসঙ্গতি নিয়ে বিরোধীদের তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকার পক্ষের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। শুধু স্পিকারকে চিঠি পাঠিয়েই থামেননি রাজ্যপাল, সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন লোকসভার স্পিকার এবং অন্যান্য রাজ্যের স্পিকারকেও। যে হেতু রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল স্পিকার সম্মেলনে। তবে রাজ্যের স্পিকারের কাছে রাজ্যপালের আর্জি, সংঘাত ছেড়ে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দু’পক্ষকেই সমন্বয় ও সুস্থ সম্পর্ক রেখে চলতে হবে।
স্পিকার বিমানবাবু এ দিন চিঠির প্রসঙ্গে মন্তব্য করেননি। তবে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, ‘‘অবান্তর কথা বলে জলঘোলা করতে চাইছেন রাজ্যপাল। তিনি কথায় কথায় জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ আনেন। রাজ্যে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি থাকলে রাজ্যপাল কি প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে যা খুশি বলে যেতে পারতেন? বিতর্ক তৈরি করে শিরোনামে আসাই ওঁর উদ্দেশ্য!’’ প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে কাল, শুক্রবার। রাজ্যপালের ভাষণ সম্প্রচারের ব্যবস্থার জন্য কোনও প্রস্তুতি এ দিন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে এ বার স্থান সঙ্কুলানের সমস্যায় সংবাদমাধ্যমের জন্যও নানা বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।