প্রবাসে-পরীক্ষার্থী: পরীক্ষার আগের রাতটা তাঁদের এ ভাবেই কাটল। কেউ খোলা প্ল্যাটফর্মে, কেউ বা হাসপাতালের খোলা চাতালে। কৃষ্ণনগর স্টেশনে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
রাজ্য সরকারের চতুর্থ শ্রেণির ৬০০০ পদের জন্য আজ, শনিবার প্রায় ২৫ লক্ষ ছেলেমেয়ে পরীক্ষায় বসছেন। তাঁদের সঙ্গে এক জন করে অভিভাবক ধরলে আধ কোটি মানুষ পথে নামবেন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢালাও ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার ও রেল কর্তৃপক্ষ। নবান্নের দাবি, পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে অতিরিক্ত রেল, মেট্রো ও বাস চলবে। পরীক্ষা চলবে দুপুর আড়াইটে থেকে পৌনে চারটে পর্যন্ত।
ভিন্ রাজ্য থেকে আসা কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই হাওড়া স্টেশনে চলে আসায় যানবাহন থমকে যায় স্ট্র্যান্ড রোড ও ব্র্যাবোর্ন রোডে। বিপাকে পড়েন ঘর-ফরতি নিত্যযাত্রী ও দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে যাওয়া যাত্রীরা। শনিবার সারা দিনও এই ভোগান্তি চলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।
শুক্রবার গ্রুপ ডি বোর্ডের চেয়ারম্যান অতনু রাহা বলেন, ‘‘পরীক্ষার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে এ দিন থেকেই কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে। শনিবার সারা দিন তা চালু থাকবে।’’ কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে পরিবহণ দফতরেও। সাধারণ দিনে কলকাতায় সরকারি বাস নামে ৯৫০-র মতো। ১১০০ বাস রাস্তায় নামবে শনিবার। অতিরিক্ত বাস নামাচ্ছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমও। অতিরিক্ত বেসরকারি বাস-মিনিবাসও রাস্তায় থাকবে বলে দাবি পরিবহণ দফতর সূত্রের।
পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল। বারাসত-শিয়ালদহ, নৈহাটি-শিয়ালদহ, নৈহাটি-রানাঘাট, সোনারপুর-লক্ষ্মীকান্তপুর এবং শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় অতিরিক্ত ট্রেনগুলি চলবে। সমস্ত ট্রেন সব স্টেশনে থামবে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিয়ালদহ মেন লাইনে অতিরিক্ত ট্রেন চলাচল করবে। অন্যান্য দিন মেট্রো চলে ২২৪টি। শনিবার চলবে ৩০০টি। পরীক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্য শিবির খোলা হয়েছে। সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা থাকছে। রাখা হচ্ছে প্রচুর ওআরএস। অতনু রাহা জানান, পরীক্ষা-প্রস্তুতি নিয়ে সব ক’টি জেলা প্রশাসনের সঙ্গেই তাঁর কথা হয়েছে।