সবুজকলি সেন। ফাইল চিত্র
অবসরের ঠিক দু'দিন আগে, শুক্রবার রাতে বরখাস্ত করা হল বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, বর্তমানে দর্শন বিভাগের অধ্যাপিকা সবুজকলি সেনকে। একই সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে প্রাক্তন ফিনান্স অফিসার তথা বর্তমান উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুমিত রায় এবং প্রাক্তন কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায়কে।
সবুজকলি-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কর্মসমিতির একটি বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বিকৃত করে তাঁরা মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে পাঠিয়েছিলেন। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, এই তথ্য-বিকৃতির উপরে নির্ভর করেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিজের সময়কাল বাড়িয়ে নিয়েছিলেন সবুজকলি সেন। বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দায়িত্বভার গ্রহণের পরে এই অভিযোগের তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেন৷ সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর শো-কজ করা হয় এই তিন জনকে। যদিও প্রয়োজনীয় নথির অভাবে শো-কজের জবাব দিতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন ওই তিন জন।
এর পরেই ১২ জুন কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে তিন জনকে সাসপেন্ড করা হয়। ২৫ অগস্টে প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটিও তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে জানায়। তখনই বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দ্রুত কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই মতো শুক্রবার রাতে জরুরি ভিত্তিতে কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে তিন জনকে বরখাস্ত করল বিশ্বভারতী।
কর্মসমিতির এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল বলেই মনে করেন সবুজকলি সেন। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যক্তিগত প্রতিশোধ স্পৃহা চরিতার্থ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই মাত্র এক দিনের নোটিসে এই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী। আইনের পথেই আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করব।’’ বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক ফোন বা মেসেজের কোনও উত্তর দেননি।