বাবা-মায়ের সঙ্গে ট্রেনে চড়ে যাচ্ছিল বছর পাঁচেকের মেয়েটি। কিন্তু ট্রেনের সেই আনন্দযাত্রা বদলে গেল বিষাদে।
পুলিশকর্মী বাবা রঞ্জিত টুডু ও মা মুনদেবীর সঙ্গে ট্রেনে চেপে বালুরঘাট থেকে কলকাতা যাচ্ছিল বছর পাঁচেকের ছোট্ট বৃষ্টি। বড়রা কেউ খেয়ালই করেননি যে এস-১ কম্পার্টমেন্টের এমারজেন্সি জানলাটা হাট খোলা ছিল। বদ্ধ কামরায় ওই একটা সম্পূর্ণ খোলা শিকবিহীন জানলা দেখে স্বাভাবিক উত্সাহে বাইরেটা দেখার ইতিউতি চেষ্টা করছিল বৃষ্টি। আর তখনই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের রামপুর স্টেশনের কাছে সবার অলক্ষ্যে ওই জানলা গলে চলন্ত ট্রেন থেকে বাইরে পড়ে যায় ছোট্ট মেয়েটি। সে পড়ে যাওয়ার পরেই হুঁশ ফেরে বড়দের। চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে শিশুটিকে লাইনের ধার থেকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন-মৃত মায়ের সঙ্গে রাত কাটাতেন ছেলে!
গুরুতর আহত অবস্থায় বৃষ্টিকে প্রথমে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি না হওয়ায় তাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।