Coronavirus in West Bengal

করোনা-যুদ্ধে জিতে আশার আলো ওঁরাই

কো-মর্বিডিটি বা আনুষঙ্গিক রোগ থাকা সত্ত্বেও কয়েক জন রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৫:০৫
Share:

ছবি: পিটিআই।

প্রতিপক্ষ ছিল বয়স এবং আনুষঙ্গিক রোগব্যাধির প্রকোপ। তবু পিছু হটতে হল মারণ ভাইরাসকে। নানা প্রতিকূলতা জয় করে প্রবীণদেরও অনেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছেন। নোভেল করোনাভাইরাসের দাপটের মধ্যেও এ রাজ্যে আশা দিচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

এমআর বাঙুর হাসপাতাল থেকে সদ্য বাড়ি ফেরা ৮৮ বছরের বৃদ্ধা সোডিয়াম-পটাশিয়াম ভারসাম্যের অভাবে ভুগছিলেন। দিন কুড়ি ভর্তি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন নার্সিংহোমে। তখনই (১৮ এপ্রিল) কোভিড ধরা পড়ে তাঁর। বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বৃদ্ধার ছোট ছেলের অভিজ্ঞতা, ‘‘গোড়ায় নিজেদের অসহায় লাগছিল খুব। তবে পরে নিশ্চিন্ত হই। বাঙুরের ডাক্তার, নার্সেরা আমার মাকে নিজের মায়ের মতো যত্নে রেখেছিলেন।’’ মঙ্গলবার ছোট ছেলে জানান, হাসপাতালে ভর্তির সময় মায়ের চটি বা বাড়তি পোশাক ছিল না। সব কিছুর ব্যবস্থা করে দেন চিকিৎসকেরাই। ‘‘মায়ের কাছে বাড়তি চটি, রাত-পোশাক চলে আসে ডাক্তারদের তৎপরতায়। মা-ই তখন ওয়ার্ডে কার কী দরকার, তার খোঁজখবর শুরু করেন,’’ বললেন অনেকটাই আশ্বস্ত পুত্র। হাসপাতালের সুপার থেকে ওয়ার্ডের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসায় তিনি এখন পঞ্চমুখ।

সোমবার সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরেছেন বৃদ্ধা। বাঙুর হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার শিশির নস্কর বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধার ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যের অভাব বা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা ছিল। তবে ওঁর বেশ মনের জোরও ছিল। ওঁকে সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে পারায় ডাক্তারেরাও আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বিধাননগর নিয়েই মাথাব্যথা লাগোয়া জেলায়

সপ্তাহ তিনেক চিকিৎসার পরে এমআর বাঙুরে করোনা-আক্রান্ত দু’জন নার্সও এ বারের পরীক্ষায় কোভিড নেগেটিভ বলে রিপোর্ট মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার তাঁরাও বাড়ি ফিরেছেন। সম্প্রতি চিকিৎসার পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এক নার্স-সহ ১১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্তারা। বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা, কোভিডমুক্ত এক নার্স বেশ আত্মবিশ্বাসী, ‘‘শীঘ্রই কাজে ফিরব।’’

কো-মর্বিডিটি বা আনুষঙ্গিক রোগ থাকা সত্ত্বেও কয়েক জন রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালিসিস নিতে হয়, এমন একাধিক রোগী সোমবার সুস্থ হয়ে বাঙুর থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে আট বছরের একটি বালক এবং ৬৭ বছরের এক বৃদ্ধাও রয়েছেন।


(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement