গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ৫ লক্ষ ২৮ হাজারের কিছুটা বেশি। কিন্তু করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার মোট সংখ্যাটা ৫ লক্ষ ছুঁতে চলল। স্বাভাবিক ভাবেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে রোজ। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হারও। সংক্রমণের হার সাড়ে ৫ শতাংশের নীচে চলে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। চুম্বকে এটাই বুধবার রাজ্যের করোনা চিত্র।
স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৯৩ জন। এর জেরে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ২১১। মঙ্গলবার রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ২৮৯ জন। তার ২৪ ঘণ্টা পর নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা লাগামের মধ্যেই রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
দৈনিক সুস্থের সংখ্যা বুধবারও দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে বেশি। এ দিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৭৬৭ জন। এই নিয়ে রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার বেড়ে দাঁড়াল ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৭৭ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ২০ হাজার ১৪৩ জন যা গতকালকের চেয়েও ৫২০ কম। রাজ্যে সুস্থতার হার এখন ৯৩.৯৪ শতাংশ।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
আরও পড়ুন: স্পিকার ডাকলে আবার এসে তাঁর হাতেই ইস্তফা দিয়ে যাবেন ‘মুক্ত’ শুভেন্দু
আরও পড়ুন: ‘নিজের আগুনেই ছাই হবে তৃণমূল’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শুভেন্দুকে শুভেচ্ছা মান্নানের
রাজ্যের করোনা মানচিত্রে একাধিক ইতিবাচক দিক দেখা গেলেও দৈনিক মৃতের সংখ্যায় তেমন একটা হেরফের হচ্ছে না। বুধবারও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে ৯ হাজার ১৯১ জন প্রাণ হারালেন করোনায়। এ দিন কলকাতায় ১৭ জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হুগলিতেও ৫ জন মারা গিয়েছেন।
বুধবারও রাজ্যে সংক্রমণের হারের গ্রাফ নিম্নমুখী। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাভাবিক ভাবেই এই হার যত নিম্নমুখী হবে, ততই স্বস্তি। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, এ দিন রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ৫.৪৩ শতাংশ। এ দিন কোভিড টেস্ট হয়েছে ৪২ হাজার ২৫৬ জনের।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বুধবার রাজ্যের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রমণের ছবিটা— এ দিন কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা দুই জায়গাতেই ৫৪৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া শতাধিক সংক্রমিত হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৬৪), হুগলি (১১৮), হাওড়া (১১৫), পশ্চিম বর্ধমান (১১২) এবং নদিয়া (১০৫)।