গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
দীপাবলি এবং লোকাল ট্রেন চালু হওয়া, এই দু’টি ঘটনার পর থেকে যত দিন গড়াচ্ছে ততই রাজ্যে দৈনিক সুস্থ এবং দৈনিক করোনা আক্রান্তের দূরত্ব কমছে। মঙ্গলবারও সেই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা গত কালকের থেকে ২ হাজারের বেশি বাড়লেও সংক্রমণের চেহারাটা ততটা ভয়াল নয়। ফলে সংক্রমণের হারও ৮ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে যা কিছুটা হলেও স্বস্তি জোগাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্তাদের।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত মঙ্গলবারের বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে মোট ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৬৩ জন করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৬২ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৮৮০ জন, যা গত কালকের থেকেও কিছুটা কম।
রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে এ দিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৬ জন। রাজ্যে এ দিনও নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক সুস্থের থেকে কম, ৩ হাজার ৫৪৫ জন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
আরও পড়ুন: ডাক পেতেই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ! সিবিআই-এর চাপে আইডি-তে এনামুল
আরও পড়ুন: ধর্মঘটের সমর্থনে জেলায় জেলায় বাম সংগঠনগুলির মিছিল
রাজ্যে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা এই দুই জেলাই করোনা সংক্রমণে প্রথম দিন থেকেই এগিয়ে রয়েছে। এ দিন কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬৭ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮১৬ জন। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৩২, নদিয়ায় ২১৯, হুগলিতে ১৯১, হাওড়ায় ১৬১, জলপাইগুড়িতে ১৩৩, পশ্চিম বর্ধমানে ১১০ এবং মুর্শিদাবাদে ১০১ জন এ দিন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।
এ দিন রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট মৃত্যু হল ৮ হাজার ১২১ জনের। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনায় ১৫ জন এবং কলকাতায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ায় ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
গত কাল রাজ্যে সুস্থতার হার ছিল ৯২.৮০ শতাংশ। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে সুস্থতার হার ৯২.৮৮ শতাংশ।
প্রতিদিন যে সংখ্যা কোভিড টেস্ট করা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলে। এদিনের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে ৪৪ হাজার ৫৬২টি কোভিড টেস্ট হয়েছে। তার মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে সাড়ে ৩ হাজারের কিছুটা বেশি। ফলে শতাংশের নিরিখে সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ হল ৭.৯৬ শতাংশ।