Coronavirus in West Bengal

বঙ্গ-সহ কিছু রাজ্যের মৃত্যুর হারই ভাবাচ্ছে

গোটা দেশের মতো  এ রাজ্যেও সুস্থতার হার ৮৬ শতাংশের বেশি। দেশে পজ়িটিভ হওয়ার হার ৮.৫৩% হলেও, এ রাজ্যে তা ৮.২১ %।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

সুস্থতার হারে স্বস্তির মাঝেই কয়েকটি রাজ্যের মৃত্যুর হার নিয়ে কেন্দ্র চিন্তিত। শনিবার ভিডিয়ো-বৈঠকে সব রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এমনই জানান ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। সূত্রের খবর, কোভিড মোকাবিলায় এ রাজ্যের পদক্ষেপগুলি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। তবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যকে মৃত্যুহার জাতীয় গড়ের নীচে নামিয়ে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । কয়েকদিন আগে রাজ্য প্রশাসনকে একই পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Advertisement

গোটা দেশের মতো এ রাজ্যেও সুস্থতার হার ৮৬ শতাংশের বেশি। দেশে পজ়িটিভ হওয়ার হার ৮.৫৩% হলেও, এ রাজ্যে তা ৮.২১ %। করোনা পরীক্ষার হারও বেড়েছে রাজ্যে। সেই দিক থেকে রাজ্যের ভূমিকা কেন্দ্রের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু এখনও কিছু রাজ্যে মৃত্যুহার জাতীয় গড়ের বেশি। দেশের মৃত্যুহার যেখানে ১.৬৩%, সেখানে এ রাজ্যের হার ১.৯৪%। তবে রাজ্যের দাবি, মোট মৃত্যুর মধ্যে ৮৬ শতাংশ অন্য রোগভোগ বা কো-মর্বিডিটি থেকে হয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের পরামর্শ, জেলা এবং হাসপাতালভিত্তিক ভাবে মৃত্যুহার যাচাই করে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি, উপসর্গযুক্ত যে রোগীদের র‌্যাপিড পরীক্ষার‌ টেস্টে নেগেটিভ আসছে, তাদের বাধ্যতামূলক ভাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

Advertisement

এ দিন রাজ্যগুলিতে অক্সিজেনের জোগান এবং সরবরাহের পর্যালোচনা করেছেন ক্যাবিনেট সচিব। কেন্দ্রের নির্দেশ, জেলায় জেলায় অক্সিজেন জোগান পর্যাপ্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এ রাজ্যে অক্সিজেনের জোগান নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। বরং অক্সিজেনের সুবিধাযুক্ত শয্যার সংখ্যা এ রাজ্যে ১২ হাজারের বেশি রয়েছে।

প্রশাসনের অন্দরের খবর, কোভিড-সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করে আগে থেকেই এই সব ব্যবস্থা করে রাখায় রাজ্যকে সাধুবাদ দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে আপাতত নতুন করে যে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন করা হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

জেলায় জেলায় শহরকেন্দ্রিক লকডাউনের পথেও আপাতত হাঁটবে না রাজ্য। কন্টেনমেন্ট এলাকায় নিয়ন্ত্রণবিধি আগের মতোই এখনও কার্যকর থাকবে।

আরও পড়ুন: ‘পড়াশোনা নিয়ে কথা হত দুই বন্ধুর’

আরও পড়ুন: ডার্ক ওয়েবে বিনিময় বার্তা, চাঁই পাকিস্তানে

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হলসেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দুদিনের সংখ্যা এবং তার পরের দুদিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবেদৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দুদিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)


(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement