ছবি পিটিআই।
বাড়তে থাকা কোভিড-সংক্রমণ চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ‘ট্রেসিং’ বা সংক্রমণ-ইতিহাস খোঁজার পদ্ধতিকে।
কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ‘ট্রেসিং, ট্র্যাকিং এবং টেস্ট’-কেই হাতিয়ার করেছে প্রশাসন। কিন্তু এখন প্রতিদিন যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে ট্রেসিং-প্রক্রিয়াই কার্যত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ট্র্যাকিং করতে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হলেও, কে কোথা থেকে কী ভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন, তা খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, এই কারণে বৃহত্তর এলাকা ধরে ধরে নিয়ন্ত্রণবিধি কার্যকর করতে হচ্ছে।
বাড়তে থাকা সংক্রমণের কারণে আনলক-পর্বের মধ্যেও গত ৯ জুলাই থেকে জেলায় জেলায় কন্টেনমেন্টের চরিত্র-পরিধি বদলে নতুন করে নিয়ন্ত্রণবিধি কার্যকর করতে হয়েছে। আপাতত ১৯ জুলাই পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে। ১৫ জুলাই থেকে একাধিক পুর-এলাকায় সম্পূর্ণ ভাবে নিয়ন্ত্রণবিধি আরোপ করতে হয়েছে। গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ বার ‘ট্রেসিং, ট্র্যাকিং এবং টেস্ট’-এর হার আরও বাড়াবে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, করোনা আক্রান্তের খোঁজ পেলেই সংশ্লিষ্ট এলাকা-বাড়ি-ব্যক্তির তথ্য গুগল আর্থ বা সমতুল কোনও ডিজিটাল মাধ্যমে ‘কেস’ ট্র্যাক করা হচ্ছে। প্রথা মেনে ওই ব্যক্তি কোথা থেকে এবং কী ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন, তা ট্রেসিং করার কথা। প্রশাসনের একাংশের মতে, এক-একটি এলাকায় প্রতিদিন একসঙ্গে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলে প্রত্যেকের সেই তথ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। এক জেলা-কর্তা জানাচ্ছেন, পরিযায়ীরা যত দিন ধরে এলাকায় ফিরেছেন, তত দিন বোঝা যাচ্ছিল সংক্রমণ এসেছে বাইরে থেকে। তার পরে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগের সংক্রমণ পরিযায়ীদের থেকেই হয়েছিল। তাঁর কথায়, “বর্তমানে স্বাস্থ্য বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই হাজার ছাড়াচ্ছে। ফলে এই প্রত্যেকের সংক্রমণ-ইতিহাস খোঁজা একদিনে কার্যত অসম্ভব। কারণ বেশির ভাগ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত নয়। আবার অনেকেই তথ্য গোপন করছেন।”
এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার হার বাড়ানোর সঙ্গে এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির বিস্তারিত লকডাউন-তথ্য পাঠানো হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনকে।