প্রতীকী ছবি।
সতকর্তা আর সচেতনতা তো আছেই। সেই সঙ্গে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে করোনা-পরিস্থিতি সামলাতে চাইছে কারা দফতর। সেই জন্য বাইরে থেকে কারাকুঠুরিতে প্রবেশের প্রথম ধাপেই পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে। বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়েও প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সব জেলের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে কারা দফতর। জেলে সদ্য আসা বিদেশি বন্দিদের উপরে বাড়তি নজরদারি চলবে।
মুক্ত পরিবেশে ভিড়-জমায়েত এড়ানো সহজ। কিন্তু লৌহকপাটের আড়ালে সীমিত স্থানে বন্দিদের সহাবস্থানে সেটা কী করে সম্ভব? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল বন্দির পরিবার-পরিজনের মধ্যেও। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস নিয়ে জেল-কর্তৃপক্ষ কী করবেন, সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয়, জেলা, মুক্ত, মহকুমা, বিশেষ— সব মিলিয়ে ৬০টি জেলে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কারা দফতর।
সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাইরে থেকে জেলে ঢোকার সময় সব কিছু পরীক্ষা হবে বন্দির। সে-ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে থার্মাল গানের ব্যবস্থাও করছে কারা দফতর। কোনও বন্দির করোনা-উপসর্গ দেখলেই তাঁকে তৎক্ষণাৎ সরকারি হাসপাতালে পাঠাবেন জেল-কর্তৃপক্ষ। কোনও বন্দির কাশি, জ্বর হলে আইসোলেশন সেলে পাঠানো হতে পারে।
বার বার হাত ধোয়ার জন্য বন্দিদের পরামর্শ দিচ্ছেন কারাকর্মীরা। সেই জন্য প্রয়োজনীয় তরল সাবান এবং স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করেছে কারা দফতর। সব জেলেই বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন তাঁদের নিকটজনেরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আত্মীয়েরা কোনও ভাবেই বন্দির কাছাকাছি যেতে পারবেন না। যথেষ্ট দূরত্ব বজাই রেখেই কথা বলতে হবে।
বিচারাধীন বন্দিদের আদালতে হাজির করানোর বদলে ভিডিয়ো-সম্মেলনে শুনানির ব্যবস্থা করার কথা বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় এবং জেলা-সহ রাজ্যের ১৮টি জেলে শুনানির জন্য ভিডিয়ো-সম্মেলনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই ব্যবস্থা কী ভাবে বাড়ানো যায়, সেই বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করছে কারা দফতর।