রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ফাইল চিত্র
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণ বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত করল রাজ্য মন্ত্রিসভা। নিয়ম মতো তা রাজভবনে পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভার তৈরি করা ভাষণই পড়ে থাকেন রাজ্যপাল। এটাই বিধি।
ভাষণের প্রথমেই বিপুল জয়ের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফেরার কথা ভাল ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও যে ভেঙে পড়েনি সেই কথা রাজ্যপালের বক্তৃতায় রাখা হয়েছে। রাজভবনের একটি সূত্রে বলা হয়, রাজ্যপাল ‘যথেষ্ট সময় নিয়ে সরকারের পাঠানো বক্তৃতা পড়ে তা সাংবিধানিক ও অন্যান্য নিরিখে বিবেচনা করতে চান। সে কথা ইতিমধ্যেই সরকারকে জানানো হয়েছে। এরই সঙ্গে রাজ্যপাল চেয়েছেন সংবাদমাধ্যমে তাঁর বক্তৃতার সরাসরি সম্প্রচার।
এখানেই বিষয়টি রাজনৈতিক মাত্রা পেতে চলেছে বলে পযর্বেক্ষক মহলের অনেকের ধারণা। তার কারণ রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার তৈরি করা বক্তৃতার বিষয়বস্তু ‘বিবেচনা’ করার কথা জানিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপাল সরকারের তৈরি করা বক্তৃতা পড়তে ‘বাধ্য’ থাকলেও পড়ার সময় নিজের কোনও বক্তব্য তাতে জুড়ে দিলে সেই মুহূর্তে বিশেষ কিছু করার থাকে না। কিছুদিন আগে কেরল বিধানসভায় সেখানকার রাজ্যপাল এমনই ঘটনা ঘটিয়ে চরম বিতর্কে জড়িয়েছেন। তবে রাজ্যপালকে নিয়ে আগেও সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটাননি।
রাজভবনের ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, বিধানসভার গত বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ার ক্ষোভও রাজ্যপাল এ বার আগেভাগেই সংশ্লিষ্ট মহলে পৌঁছে দিয়েছেন।
তবে কোভিড পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক অধিবেশনগুলিতে বিধায়কদের বসার যে বন্দোবস্ত করা হচ্ছে তাতে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার জন্য প্রয়োজনীয় স্থান সঙ্কুলান করা যাবে কি না, স্পিকার তা খতিয়ে দেখবেন। আর স্থান সঙ্কুলান হলেও অধিবেশনের কার্যক্রম কী ভাবে, কতটা দেখানো হবে সেটিও সম্পূর্ণত স্পিকারের এক্তিয়ার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। কোভিড বিধি পুরোপুরি মেনে স্পিকার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করবেন।’’ ২ জুলাই বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। বাজেট পেশ হবে ৭ জুলাই। এখনও পর্যন্ত খবর, শারীরিক কারণে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বাজেট ভাষণ পড়বেন না। পড়বেন সম্ভবত পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে পূর্ণাঙ্গ বক্তৃতা না করে অল্প কিছু অংশ পড়া হতে পারে। বাকিটা সভায় পেশ হবে।