Congress

Congress: ছাত্র পরিষদের সভায় কংগ্রেসের নিশানায় বিজেপি

কংগ্রেসের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, মোদীর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিক্রি করে দেওয়ার নীতির বিরুদ্ধে দলের সব সংগঠনকে প্রতিবাদ করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২১ ০৬:০৪
Share:

মহাজাতি সদনের অনুষ্ঠানে অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র

ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে প্রধানত বিজেপিকে নিশানা করল কংগ্রেস।

Advertisement

মহাজাতি সদনে শনিবার ছাত্র পরিষদের ৬৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় ছাত্র সংগঠন এনএসইউআইয়ের জাতীয় সভাপতি নীরজ কুন্দন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, এআইসিসি-র তরফে রাজ্যের দু’জন সহ পর্যবেক্ষক আর এস বালি এবং বি পি সিংহ, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, অসিত মিত্র, অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার প্রমুখ। কংগ্রেসের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত—প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিক্রি করে দেওয়ার নীতির বিরুদ্ধে দলের সব সংগঠনকে দেশ জুড়ে সর্বাত্মক প্রতিবাদ করতে হবে। সেই মতোই এ দিন ছাত্র পরিষদের সভায় অধীরবাবু বলেন, ‘‘রেল, বিমা, বিমানবন্দর, খনি, প্রতিরক্ষা-সহ যা সম্পদ গত ৭০ বছরে দেশে তৈরি হয়েছিল, সেই সব ক্ষেত্র ধরে ধরে বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে মোদী সরকার। এই কাণ্ডের আবার নানা রকম নাম দিচ্ছে। এই ভাবে দেশ বেচার ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্র।’’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস এখনও এ রাজ্যে আছে, সেটা মানুষকে দেখাবার জন্য হয়তো তাদের নেতারা এ সব বলছেন। মোদীজি জানেন, দেশ তাঁর সম্পত্তি নয়। তাই তিনি দেশের সম্পত্তিকে দেশবাসীর কাছে লাগাচ্ছেন। লিজ থেকে পাওয়া টাকা নতুন শিল্প এবং কর্মসংস্থানে ব্যবহার হবে। এটা আমাদের নীতি।’’

Advertisement

ছাত্র পরিষদের সভায় সব বক্তাই মূলত বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি কেউ কোনও কথা বলেননি। তবে কারও নাম না করে অধীরবাবুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘বিধান রায়ের মতো মুখ্যমন্ত্রী— তাঁরা ছিলেন রাষ্ট্রনায়ক। যাঁরা দেশের কথা, রাজ্যের কথা ভাবতেন। তার ফলে তাঁরা উন্নয়ন এবং পরিকাঠামোর জন্য টাকা খরচ করেছেন। বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করেননি বা নগদ টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেননি।’’ অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প ‘দ্য হোম কামিং’ বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ করছি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম থেকে এক দলিত মেয়ের লড়াইয়ের কাহিনী মহাশ্বেতা দেবীর ‘দ্রৌপদী’ বাদ দেওয়ারও প্রতিবাদ করছি। এই দুই ঘটনাতেই বিজেপির বাঙালি মনীষীদের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকট হয়েছে। বাংলার বিজেপি নেতারা রবীন্দ্রনাথের অপমান সহ্য করবেন, আবার বাংলায় রাজনীতিও করবেন, দুটো এক সঙ্গে হয় কি?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement