নামচিতে বিমল গুরুঙ্গের খোঁজে অভিযানে গিয়ে সাবিত্রী রাইকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। কিন্তু সিকিমের আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে দেয়। বুধবার সেই জামিন খারিজ করে সাবিত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিতে সিকিম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিআইডি। আদালত সূত্রের খবর, আগামী ১ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির ঠিক হয়েছে। কেন অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ করে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে না, তা সাবিত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি মীনাক্ষী রাই।
সিআইডি-র কর্তারা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর সিকিমের নামচিতে মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়। কালিম্পং পুলিশের একটি দল গুরুঙ্গের খোঁজে সীমানা পেরিয়ে সেই বৈঠকে হানা দেয়। সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু হয়। গুরুঙ্গ পালিয়ে গেলেও তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দার্জিলিঙের সাবিত্র রাই-সহ সাত জন গ্রেফতার হন। কিন্তু সিআইডি তাঁকে ট্রান্সিট রিমান্ডে নিতে পারেনি। ঘটনার পরের দিন নামচি আদালত সাবিত্রীর জামিন মঞ্জুর করেন। সেই সাবিত্রীকে হেফাজতে নিতে কলকাতা হাইকোর্ট ও শিলিগুড়ি কোর্টের তিন আইনজীবীর প্যানেল তৈরি করে সিকিম হাইকোর্টে আবেদন করে রাজ্য।
সিআইডি-র হয়ে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার, ময়ূখ মুখোপাধ্যায় এবং অভ্রজ্যোতি দাস আদালতে জানান, ‘‘ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের আদালতে মামলা আছে। আমরা তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁর জামিন বাতিল করে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর আর্জি জানাচ্ছি।’’ সিআইডি আদালতকে জানায়, ৮ জুন দার্জিলিঙে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময়ে গোলমালের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সাবিত্রী। অফিসারেরা জানান, সাবিত্রীকে হেফাজতে নিতে পারলে গুরুঙ্গ সম্পর্কে অনেক তথ্য সামনে আসবে। সিকিম সীমানার কোথায় ঘুরছেন গুরুঙ্গ, তাঁর সঙ্গে কাদের যোগাযোগ, সিংলার জঙ্গল থেকে পালানোর পরে ঠিক কোথায় ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি, তার অনেক কিছুই সাবিত্রীর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব হতে পারে, দাবি সিআইডি-র।