জেতা পঞ্চায়েতও বিজেপির থাকবে কি

গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসকদলকে কঠিন লড়াইয়ে রেখে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নিচুতলায় বহু আসন জিতেছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮ ০৩:৫৩
Share:

জিতলেও কি বহু পঞ্চায়েত বা সমিতির অধরা থেকে যাবে বিজেপির? —ফাইল চিত্র।

অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সমিতি হাতে এলেও তা হাতে থাকবে তো বিজেপির? শাসকদলের ‘তৎপরতা’র মুখে সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। দলবদলের এই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হলে জিতেও বহু পঞ্চায়েত বা সমিতির অধরা থেকে যাবে বিজেপির।

Advertisement

গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসকদলকে কঠিন লড়াইয়ে রেখে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নিচুতলায় বহু আসন জিতেছে বিজেপি। সেই বিজয়ীদের দলে টানার কাজ অনেকটাই গুটিয়ে এনেছে তৃণমূল। গত পনেরো-কুড়ি দিন তৃণমূলের রাজনৈতিক তৎপরতায় সেই ইঙ্গিত রয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘বিজেপির জয়ীরা বড় সংখ্যায় তৃণমূলে আসতে চাইছেন। এখানে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই।’’ এ দিকে বোর্ড তৈরির আগে মুর্শিদাবাদের দু’টি পঞ্চায়েতে নির্বাচিত বিজেপি ও কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের আট সদস্য মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। দলবদলে বিজেপি, কংগ্রেস ও আরএসপির সদস্যেরাও রয়েছেন। তাতে ভরতপুর, তালগ্রাম ও আমলাই পঞ্চায়েতের বিন্যাস বদলাতে পারে।

ফলের নিরিখে জেলার আটটি পঞ্চায়েত সমিতির দু’টিতে এবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেই হিসাবে এই সাঁকরাইল ও গোপীবল্লভপুর সমিতিতে তাঁদের বোর্ড হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানেও নতুন সম্ভাবনা দেখছেন পার্থবাবুরা। কিন্তু এখানেও কী ‘বিরোধীশূন্য’ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল? দলের মহাসচিবের দাবি, ‘‘এলাকাগত কারণে অনেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। স্থানীয় মতপার্থক্য ছিল। নেতাদের কাজকর্ম নিয়ে কোথাও কোথাও ক্ষোভ ছিল। কিন্তু তাঁরা তৃণমূলের বিরোধী নয়। তাই ফিরতে চাইছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘হয় ক্যাশ না হয় কেস। ঘুরপথে ক্ষমতা ধরে রাখতে এই পথ নিচ্ছে তৃণমূল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘তা স্থায়ী হবে না। লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে সমীকরণই বদলে যাবে। তখন সুদ-সহ সব ফেরৎ আসবে।’’

Advertisement

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ পুরুলিয়ায় যে সব পরিবারের কাছে গিয়েছিলেন, পরদিনই তাঁদের দলে ‘স্বাগত’ জানিয়েছিল তৃণমূল। জঙ্গলমহলে পঞ্চায়েত ভোটের সাফল্যের পর দলের নেতা-কর্মীদের উৎসাহ ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর মেদিনীপুর সফরকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। সে কথা মাথায় রেখেই বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিতে চাইছে তৃণমূল। পঞ্চায়েতের প্রশাসনিক ক্ষমতা হাতে নিতে এই লক্ষ্যে তৃণমূলের প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। সেই সঙ্গে আটটি ব্লকের সংগঠনেও নেতৃত্ব বদল করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি স্থানীয়স্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে জেলায় দলের কাজ একটি অফিস থেকেই চালাতে বলা হয়েছে দলের নেতাদের। যুব বা অন্য শাখা সংগঠনের আলাদা দফতর করতেও নিষেধ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement