স্ত্রীকে নির্যাতনে অভিযুক্ত এক বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হল মেমারি থানার লক আপে। শুক্রবার দুপুরে লক আপের ভিতরে শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সন্ধ্যায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের জন্য মৃতদেহটি পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বন্দির নাম শঙ্খদেব টুডু (৪০)। তাঁর বাড়ি মেমারির ঝিকড়া গ্রামে। বর্ধমান পূর্বের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “ওই বন্দি আত্মহত্যা করেছেন। ময়না-তদন্তের রিপোর্টের পরে নিয়মমাফিক বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে।”
এ দিন সকালেই স্ত্রীর উপর নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে মেমারি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন মৃত বন্দির স্ত্রী লক্ষ্মী টুডু। তাঁর অভিযোগ, খেত জমি থেকে কাজ করে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে প্রতিদিন মারধর করেন স্বামী। কয়েকদিন আগে, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ের উপরেও মদ খেয়ে চড়াও হন তিনি। তারপরেই লক্ষ্মীদেবী পাড়ায় ও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিষয়টি জানান। তাঁদের পরামর্শে স্বামীকে ‘শোধরানোর’ জন্য মেমারি থানারও দ্বারস্থ হন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ শঙ্কদেবকে ধরে।
মেমারি থানা সূত্রে জানা যায়, লক আপে একাই ছিল শঙ্খদেব। দুপুরে শৌচাগারের ভিতর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। লক আপে সিসিটিভিও ছিল। ঘটনার পরে কিছু বলতে চাননি লক্ষ্মীদেবী। তবে তাঁর পরিজন ও পুলিশের ধারণা, লজ্জাতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ওই ব্যাক্তি।