মিড-ডে মিলে ডিমের বিরিয়ানি, মাংসও

ভাল কিছু করার ইচ্ছে আর পরিশ্রম। এর যোগফলে ভাল কিছু যে করা যায়, তা বোঝা যায় পূর্বস্থলীর অন্নদাপ্রসাদ ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে গেলে।

Advertisement

দীপঙ্কর চক্রবর্তী

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৪
Share:

পাতে-হাত: লাইন দিয়ে খাচ্ছে খুদেরা। নিজস্ব চিত্র

ভাল কিছু করার ইচ্ছে আর পরিশ্রম। এর যোগফলে ভাল কিছু যে করা যায়, তা বোঝা যায় পূর্বস্থলীর অন্নদাপ্রসাদ ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে গেলে।

Advertisement

প্রথম থেকে চতুর্থ, প্রতিটি শ্রেণির জন্য রয়েছে আলাদা ক্লাসঘর। সেগুলি আবার সুন্দর করে সাজানো। পরিচ্ছন্ন দেওয়ালে কোথাও শোভা পাচ্ছে সান্তাক্লজ, তো কোথাও বর্ণপরিচয়, সহজপাঠ, ইংরেজি ছড়া। সব ঘরেই রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম। রয়েছে আলাদা লাইব্রেরি। সাধারণ ছাত্রছাত্রী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য পৃথক শৌচালয়, মায় জলের ব্যবস্থাও।

স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ২২৭। ছাত্রছাত্রীদের কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মিড-ডে মিলের মেনুতে প্রায়ই নানা বৈচিত্র থাকে। কোনও দিন থাকে ফ্রাইড রাইস, কখনও এগ বিরিয়ানি। খিচুড়ি, মাংস, ডিম, সব্জি তো রয়েছেই। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাখ শেখ জানাল, খাবার খেতেও ভাল হয়। শুধু কি খাবার, ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে আস্ত খাবার ঘর। সেখানে সিমেন্টের থাক করে ভাতের থালা রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

Advertisement

আর পড়াশোনা? তৃতীয় শ্রেণির রোহিণী বৈরাগ্য, চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা জানাল, স্যারেরা মন দিয়ে পড়া বোঝান। কখনও বকেন না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মায়া রায় ভট্টাচার্য জানালেন, ছাত্র-শিক্ষক তো বটেই অভিভাবকদের সহযোগিতায় এমনটা করা সম্ভব হয়েছে। তার জন্য মিলেছে পুরস্কারও। মায়াদেবীর কথায়, ‘‘স্কুল এ বার নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পেয়েছে।’’

পূর্বস্থলীর অঞ্চল প্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধায়, শিক্ষানুরাগী সোলেমান শেখরাও স্কুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পঙ্কজবাবু বলছেন, ‘‘স্কুলটি জেলার মধ্যে সমস্ত দিক দিয়ে উন্নত। আমরাও যতটা পারি সাহায্য করি।’’ অভিভাবক ভুবন ঘোষ, আয়েষা মল্লিক জানালেন, ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করছে কিনা, পরিস্কার জামাকাপড় প়়ড়ে স্কুলে আসছে কিনা, পরিচ্ছন্ন থাকছে কিনা— সে সব খুঁটিনাটি দিকেও নজর রাখেন শিক্ষকেরা। সম্প্রতি এই স্কুল ঘুরে গিয়েছেন সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা আধিকারিক শারদ্বতী চৌধুরী। শিক্ষকদের দাবি, স্কুলের পরিবেশ দেখে তিনিও খুশি হয়েছেন। স্কুলের প্রশংসা করেছেন পূর্বস্থলী চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বাপ্পা পাল, দক্ষিণ চক্রের কৃষ্ণেন্দু ঘোষরাও।

এত কিছুর মধ্যেও থেকে গিয়েছে সমস্যা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা জানালেন, স্কুলের পিছন দিকে কিছু দূরে কোনও সীমানা পাঁচিল নেই। তাঁর কথায়, ‘‘বর্ষার সময়ে নদীর জল স্কুলের কাছাকাছি চলে আসে। সাহায্য পেলে পাঁচিলটুকু তৈরি করা যায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement