দিনভর বিকিকিনি চলে এই বাজারে। অথচ বুদবুদ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই জানেন না, আবর্জনা কোথায় ফেলবেন। একই হাল মানকর গ্রামেও। এই পরিস্থিতিতে রাস্তার উপরে, নিকাশি নালায় জমছে আবর্জনার স্তূপ। সামান্য বৃষ্টি পড়লে অবস্থা আরও শোচনীয় হয় বলে জানান বাসিন্দারা। এই সমস্যা দূর করতে কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মানকর গ্রাম পঞ্চায়েত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তৈরি হওয়া বুদবুদ বাজারে এই মুহূর্তে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাতশোটি দোকান রয়েছে। ফি দিন বুদবুদ, আউশগ্রামের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমান এই বাজারে। কিন্তু আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় নিকাশি নালা বা ফাঁকা জায়গাতে জমছে নোংরার স্তূপ। মহম্মদ আকবর, বাপি মণ্ডলদের মতো ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘‘সামান্য বৃষ্টি পড়লেই নালার জল দোকানে ঢুকে পড়ে। মার খায় ব্যবসা।’’ একই হাল মানকর গ্রামেও। সুকুমার পাল নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘চার দিকে আবর্জনার দুর্গন্ধে চালাফেরা করা দায়। একটা নির্দিষ্ট জায়গা হলে, সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।’’
প্রশাসনের একটি সূত্রের মতে, এলাকায় কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি হলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে। গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে বুদবুদ ও মানকর পঞ্চায়েতকে পদক্ষেপ করার জন্য বলা হয়। সেই মতো মানকর পঞ্চায়েতের তরফে কেন্দ্রটি গড়ে তোলার জন্য একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচের অনুমোদন পেতে তা জেলা পরিষদেও পাঠানো হয়েছে বলে খবর। পঞ্চায়েত প্রধান কল্যাণী পাত্র রায় বলেন, ‘‘এই কাজে যদি অন্য পঞ্চায়েতও যুক্ত হতে চায়, তা হলে প্রকল্পটি আরও বড় হবে।’’