শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র
প্রস্তুতি চলছিলই। ভোট ঘোষণা হতে তৎপরতা আরও বাড়ল রাজনৈতিক দলগুলির। ২৯ এপ্রিল লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফার দিনে বর্ধমানের দু’টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে, রবিবার ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সব ক’টি রাজনৈতিক দলের জেলা নেতাদেরই দাবি, তাঁরা ভোট প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি।
তৃণমূল নেতৃত্ব বেশ কিছু দিন ধরেই ব্লকে-ব্লকে কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করছেন। প্রচারের বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেখানে। কেন্দ্রের নানা ‘ব্যর্থতা’ ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা সাধারণ মানুষের কাছে কর্মীদের তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘ব্লকের কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনগুলি শেষ পর্যায়ে। দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে। কর্মীদের দায়িত্ব ভাগ করে বাড়ি-বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
ভোটের প্রচারের প্রস্তুতি আগে থেকে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি-ও। দলের কর্মীরা প্রচারে নেমে পড়েছেন নানা এলাকায়। কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের কথা প্রচারে বলছেন তাঁরা। দলের বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা এলাকার সভাপতি সন্দীপ নন্দীর কথায়, ‘‘কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল জানাতে বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছি। ছোট-ছোট সভা করা হচ্ছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে রয়েছে বর্ধমানের আসন দু’টি। সেই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি।’’
জেলার নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের দাবি, ভোটের প্রচারের বিষয়ে বামেদের তরফে এখনও পর্যন্ত তুলনামূলক কম তৎপরতা চোখে পড়েছে। যদিও সিপিএম নেতাদের দাবি, সরাসরি লোকসভা ভোটের প্রচার না হলেও চাষে ক্ষতিপূরণ-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত আন্দোলন চালানো হচ্ছে। দলের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিকের কথায়, ‘‘লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রাম চলছে। এগুলো তো ভোটেরই প্রস্তুতি। দেওয়াল লিখন, বাড়ি-বাড়ি যাওয়াও শুরু হয়েছে কিছু জায়গায়।’’
ভোট সংক্রান্ত প্রস্তুতি-বৈঠক চলছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বও। দলের নেতা লক্ষ্মী নায়েক জানান, সভা-সম্মেলন চলছে। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আসন সমঝোতার ফলাফল কী হয়, তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।’’