আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার। ছবি সংগৃহীত।
গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের ২০২২-এর ২৪ অগস্ট থেকে চলতি বছরের ৬ মার্চ পর্যন্ত ঠাঁই হয়েছিল আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে। অনুব্রত গ্রেফতার হয়েছিলেন গত বছর ১১ অগস্ট। গ্রেফতার হওয়ার এক বছর পরে, তিনি দীর্ঘদিন যেখানে বিচারাধীন বন্দি ছিলেন, আসানসোলের সেই সংশোধনাগারটিতে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, সেখানে অনুব্রতকে নিয়ে কার্যত কোনও আলোচনাই হয় না।
এই মুহূর্তে অনুব্রত তিহাড় জেলে বন্দি। তবে বার বারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে দিল্লির রউস অ্যাভিনিউ কোর্ট, সর্বত্র অনুব্রত আসানসোলে ফেরার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তবে সে অবেদন মঞ্জুর হয়নি। এ দিকে, তাঁর গ্রেফতার হওয়ার এক বছর উপলক্ষে, সংশোধনাগারে কান পাতলেও শোনা যাচ্ছে না অনুব্রতের নাম। তবে, আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত থাকতেন মেডিক্যাল ওয়ার্ডে। তাঁর জন্য গদির বিছানা ও একটি কাঠের চেয়ারের বাড়তি ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সে সব এখন আর কেউ ব্যবহার করেন না বলেই জানা গিয়েছে।
ঘটনা হল, অনুব্রত এখানে থাকার সময়ে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনামে থাকত আসানসোলের এই সংশোধনাগার। কখনও তাঁর পুকুরের মাছ খেতে চাওয়ার আবদার, কখনও তাঁর সঙ্গে হরদম লোকজনের দেখা করতে আসা, তাঁর অসুস্থ হওয়া ইত্যাদি নানা কারণ থাকত তার নেপথ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কারাকর্মী ও কারাকর্তা জানাচ্ছেন, অনুব্রত থাকাকালীন বাড়তি সতর্কতাও নিতে হত তাঁদের। কারণ, এক দিকে অনুব্রতের নিরাপত্তা ও তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বাড়তি নজর
রাখতে হত।
এই আবহে, এক কারাকর্মীর বক্তব্য, “উনি যে প্রায় এক বছর আগে এখানে এসেছিলেন, সেটাই ভুলে গিয়েছিলাম। সংবাদমাধ্যমের খবর পড়ে মনে পড়ল। আমরা ওই পর্বটা নিয়ে কোনও কথা বলি না।”