যৌথ উদ্যোগে দুই হাসপাতাল পুরসভায়

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন হাসপাতাল হলে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত হাসপাতালে রাজ্য সরকারের ‘আয়ুষ্মতি’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ও কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনা’র আওতায় থাকা সব নাগরিক চিকিৎসা করাতে পারবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৩:০০
Share:

রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, কুলটি-সহ নানা এলাকা নিয়ে নব কলেবরে আসানসোল পুরসভা তৈরির পরে এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বাড়ানোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এলাকাবাসীর সেই দাবির কথা মাথায় রেখে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দু’টি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা করেছে আসানসোল পুরসভা।

Advertisement

মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) দিব্যেন্দু ভগতের দাবি, এর জন্য আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ আহ্বান করা হয়েছে। কয়েকটি সংস্থা আবেদন করেছে। পুরসভার বেঁধে দেওয়া শর্তের ভিত্তিতে দু’টি সংস্থার নাম চূড়ান্ত করা হবে। পুরসভা জানায়, রিপ্রোডাক্টিভ অফ চাইল্ড হেল্থ (আরসিএইচ) সেন্টারের অধীনে থাকা দু’টি হাসপাতালকেই বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পূর্ণ মাত্রার হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সাহায্যে ১৯৯৮-র অগস্টে আসানসোলের ইসমাইল ও ওকে রোড এলাকায় পুরসভা হাসপাতাল দু’টি হাসপাতাল তৈরি হয়। বর্তমানে এখানে প্রসূতি ও পাঁচ বছরের কমবয়সী শিশুদের চিকিৎসা হয়।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন হাসপাতাল হলে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত হাসপাতালে রাজ্য সরকারের ‘আয়ুষ্মতি’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ও কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনা’র আওতায় থাকা সব নাগরিক চিকিৎসা করাতে পারবেন। যাঁরা এই সব বিমার আয়তায় নেই তাঁদের জন্যও ন্যূনতম খরচে পরিষবা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত হাসপাতাল দু’টিতেই ৩০টি করে শয্যা, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য দু’টি পৃথক সাধারণ ও অস্ত্রোপচার ওয়ার্ড থাকবে। এ ছাড়া ইচ্ছুক রোগীদের জন্য থাকবে আলাদা আধুনিক কেবি। সাধারণ স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের জন্য দু’টি আলাদা বহির্বিভাগ তৈরি করা হবে। বিপিএল কার্ড থাকা রোগীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বিপিএল তালিকাভুক্ত কোনও রোগীর স্বাস্থ্যবিমার কার্ড না থাকলে তাঁদের জন্য বিশেষ ছাড়ের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও স্ত্রীরোগ, শিশুদের রোগ, অস্থি সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসা ও সাধারণ অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকবে। চক্ষু বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, চোখের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুরবাসীকে সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’ তবে এই সমস্ত পরিকল্পনা এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে বলে দাবি পুরসভার দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement