জায়ান্ট স্ক্রিনে সভা দেখতে ভিড় কালনায়। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল
দলের হয়ে জনসভা করে গিয়েছেন আগে। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এই এলাকায় এটাই ছিল তাঁর প্রথম সভা। কালনায় শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার কথা ছিল দুপুরে। কিন্তু তিনি পৌঁছনোর অনেক আগেই ভরে উঠল স্টেডিয়াম। রাস্তায় দাঁড়িয়েও জায়ান্ট স্ক্রিনে সভা দেখলেন কয়েক হাজার মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা উপলক্ষে এ দিন সকাল থেকে কালনায় বন্ধ রাখা হয় সমস্ত যানবাহন। বেলা ১১টা থেকে স্টেডিয়ামে লোক ঢোকা শুরু হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভরে যায় স্টেডিয়াম। তার পরেও পূর্বস্থলী, মন্তেশ্বর, ভাতার, জামালপুর-সহ নানা এলাকা থেকে মানুষ আসতে থাকেন। রাস্তায় দশ জায়গায় আগে থেকেই জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা হয়েছিল। তবে সভায় স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পেরে হতাশ হন অনেকে। কালনার এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘শহর-গ্রামের অনেক নেতাই শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও ভিতরে ঢোকার ছাড়পত্র পাননি।’’
দুর্গাপুর থেকে দুপুর ১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কালনায় পৌঁছনোর কথা ছিল। তবে তিনি মঞ্চে পৌঁছন পৌনে ২টো নাগাদ। হেলিকপ্টারে কাঠিগঙ্গার মাঠে নামার পরে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ১৩টি গাড়ির কনভয় পৌঁছয় সভাস্থলে। তখন বিভিন্ন রাস্তায় থিকথিকে ভিড়। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে পর্যন্ত স্টেডিয়ামের ভিতরে বাউলশিল্পীদের গানের আয়োজন ছিল। সভায় প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী গাছ, কৃষি যন্ত্রপাতি, সাইকেল-সহ নানা সামগ্রী তুলে দেন উপভোক্তাদের হাতে। জেলার মোট ২৬,২৪০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় নানা জিনিস। শিলান্যাস হয় ৪৯টি প্রকল্পের। জেলা প্রশাসন জানায়, প্রকল্পগুলি রূপায়ণে বরাদ্দ হয়েছে ১৯৭ কোটি টাকা।
সভা শেষে জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কতটা জনপ্রিয়, তা কালনার সভা প্রমাণ করে দিল।’’ যদিও বিরোধীরা সভায় ভিড়ের কথা মানতে নারাজ। বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদক রাজীব ভৌমিকের বক্তব্য, ‘‘অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়াম এমনিতেই ছোট। তার উপরে মঞ্চ-সহ নানা আয়োজন করতে গিয়ে আয়তন আরও ছোট হয়েছে। বড় মাঠ হলে সভাস্থল ভরত না।’’