প্রতীকী ছবি।
শহরে প্রতিটি ডিমের দাম ছ’টাকা। গ্রামাঞ্চলে কোথাও সাড়ে ছয় থেকে সাত টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা যতটা ততটা জোগান না থাকায় দাম বাড়ছে পোলট্রির ডিমের।
বৃহস্পতিবার কালনার চকবাজার এলাকায় ৩০টি ডিমের ট্রে-র পাইকারি দর ছিল ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। কোনও কোনও পাইকারি বাজারে এর থেকে বেশি দামেও বিক্রি হয়েছে ডিম। ব্যবসায়ীদের দাবি, ঘরে মজুত করার জন্য ডিমের বিকল্প নেই। তাছাড়া বাজারে মাছের জোগান কমছে, মুরগির মাংসের দামও এক ধাক্কায় দেড়শো পার। তাই শহর, গ্রাম সর্বত্র চাহিদা রয়েছে ডিমের। দিন চারেক আগেও যেখানে এক ট্রে ডিমের দাম ছিল ১১০ টাকা, এই ক’দিনে তা বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা করে। কালনার এক ডিম বিক্রেতা পরিতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘যাঁরা খুচরো ডিম কিনতেন, তাঁদের অনেকেই ৩০টি করে ডিম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই কারণেই মুশকিল।’’
প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা যায়, রাজ্যে প্রতিদিন দু’কোটির বেশি ডিমের চাহিদা থাকে। এক সময় ডিম উৎপাদনে রাজ্য পিছিয়ে থাকলেও এখন সেই ঘাটতি মিটেছে। ওই দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘ডিমের উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও অস্বাভাবিক কিছু হলে পুলিশকে তা দেখতে বলা হয়েছে।’’ দুধের জোগানও বাড়ানো হয়েছে, দাবি তাঁর।