বৃষ্টি থামতেই ভিড় ইদের বাজারে

ব্যাগ হাতে দুই বান্ধবীর সঙ্গে রংবেরঙের চুরি দেখতে ব্যস্ত কাটোয়া পাড়ার বছর উনিশের ফতেমা। সঙ্গে ছাতা। পাশে দাঁড়িয়ে মেহেন্দি কিনছিলেন জামাইপাড়ার রুবিনা বিবি। তারও হাতে ছাতা। চোখাচোখি হতে দু’জনেই বলে উঠলেন, ‘যা বৃষ্টি সব কেনাকাটা শেষ করব কীভাবে!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৬ ০০:৩০
Share:

ব্যাগ হাতে দুই বান্ধবীর সঙ্গে রংবেরঙের চুরি দেখতে ব্যস্ত কাটোয়া পাড়ার বছর উনিশের ফতেমা। সঙ্গে ছাতা। পাশে দাঁড়িয়ে মেহেন্দি কিনছিলেন জামাইপাড়ার রুবিনা বিবি। তারও হাতে ছাতা। চোখাচোখি হতে দু’জনেই বলে উঠলেন, ‘যা বৃষ্টি সব কেনাকাটা শেষ করব কীভাবে!’’

Advertisement

খুশির ইদের বাজারে মুখগোমড়া আকাশ নিয়ে চিন্তার ছবি জেলা জুড়েই। মাস খানেক দাবদাহের পরে দিন দুয়েক ধরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও এক দিকে, আর এক দিকে রথযাত্রার মরসুমে শেষ মুহূর্তের বিক্রিবাটা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়েছেন দোকানিরা। তবে মঙ্গলবার কাটোয়ার বাজার ঘুরে দেখা গেল, বৃষ্টি ধরতেই জামাকাপড় থেকে সাজার জিনিস, ফল থেকে লাচ্ছা চুটিয়ে কিনছেন মানুষ। খুশি ব্যবসায়ীদের চোখমুখেও।

সবচেয়ে বেশি ভিড় বোধহয় গয়না, কসমেটিক্সের দোকানে। স্কুল ছাত্রী থেকে গৃহবধূ সকলেই ইদের আগে বাহারি দুল, চুড়ি কিনতে ব্যস্ত। সঙ্গে মেহেন্দি তো আছেই। জামাইপাড়ার আসমিনা বিবি বলেন, ‘‘মেয়ের জন্য চুড়ি, মেহেন্দি নিতে হয় প্রতি বছরই। নিজের জন্যও কিনছি।’’ ক্লাস ফাইভের ফিরদৌসিকে দেখা গেল রঙিন ফুলছাপ চুলের ব্যান্ড পছন্দ করতে। নিচুবাজারের এক ব্যবসায়ী মীর মুকুল আলি বললেন, ‘‘এ বারের ইদের নতুন আমদানি এই কিরণমালা ব্যান্ড। ছোট ছোট মেয়েদের মধ্যে এই ব্যান্ড কেনার ঝোঁক বেশি।’’ এ ছাড়া কাঁচের উপর নকশা করা চু়ড়ির চাহিদা রয়েইছে। জামাকাপড়ের দোকানে গিয়েও দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সবাই মেতেছেন শেষ মূহু্র্তের কেনাকাটায়। কেউ শাড়ি তো কেউ বাজারে নতুন আসা ‘লং ফ্রক’ কিনছেন। কাছারি রোডের এক ব্যবসায়ী শ্রীকৃষ্ণ বণিকের কথায়, ‘‘বিক্রিবাটা ভালই চলছে। তবে গত দু’দিন বৃষ্টির জন্য বাজার একটু ফাঁকা ছিল।’’ তবে তাতেও লম্বা ঝুলের মস্তানি চুড়িদার দিব্যি বিকিয়েছে।

Advertisement

ফলের দোকানেও খেজুর, আপেলের দরদাম চলছে। ক্রেতাদের কথায়, ‘‘ইদ আর রথ একসঙ্গে হওয়ায় ফলের দাম আকাশছোঁয়া। কিন্তু উৎসব তো বারবার আসে না।’’ সুতরাং বিভিন্ন শুকনো ফল, খেজুর, লাচ্ছা কেনার ভিড় চলছেই। ফল বিক্রেতা লাল মহম্মদ শেখ জানান, খেজুর ২০০ টাকা কেজি দরে ভালই বিকোচ্ছে। সঙ্গে বিভিন্ন মানের লাচ্ছার চাহিদা রয়েছে। ৩০টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা কেজিরও লাচ্ছা আছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement