দুপুরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে বা়ড়ির পথে কর্মীরা

প্রত্যন্ত গ্রামে রাত-বৈঠক করে সাধারণ মানুষের কথা শোনেন প্রশাসনের কর্তারা। শিবির থেকেই সমস্যা মেটানোরও চেষ্টা করা হয়। তবে তাতেই ফাঁক রয়ে যায় কিছুটা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩০
Share:

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ঘুরে দেখলেন কর্তারা।নিজস্ব চিত্র।

প্রত্যন্ত গ্রামে রাত-বৈঠক করে সাধারণ মানুষের কথা শোনেন প্রশাসনের কর্তারা। শিবির থেকেই সমস্যা মেটানোরও চেষ্টা করা হয়। তবে তাতেই ফাঁক রয়ে যায় কিছুটা। এ বার গ্রামের মানুষজনের অভিযোগ শুনতে ও পঞ্চায়েত স্তরে সরকারি দফতরের কাজ কেমন চলছে তা খতিয়ে দেখতে প্রতিদিন একটা পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহকুমা প্রশাসন।

Advertisement

কালনা মহকুমার পাঁচ ব্লকে ৪৭টি পঞ্চায়েত রয়েছে। ঠিক হয়েছে, মহকুমাশাসক ও চার জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পালা করে প্রতিদিন একটা পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরবেন। পরিদর্শনের সময় তাঁদের সঙ্গে থাকবেন সংশ্লিষ্ট ব্লক আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা। বুধবারই কালনার মহকুমাশাসক নিতীন সিংহানিয়া কালনা ২ ব্লকের অকালপৌষ পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেন। আচমকা পরিদর্শনে নজরে আসে বেশ কিছু অসঙ্গতি। দেখা যায়, সকাল ৮টায় খোলার কথা থাকলেও বেশ কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলছে অন্তত ৪৫ নিমিট পরে। ছাত্রছাত্রীদের রান্না করা খাবার বসে খাওয়ানো নিয়ম হলেও খাবার টিফিন কৌটৌয় ভরে বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে অনেককে। এরপরে একটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান আধিকারিকেরা। দেখা যায়, বেলা একটা পর্যন্ত যাঁরা নাম লেখান তাঁদেরই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। দেড়টার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি চলে যান। অথচ নিয়ম বলে, বিকেল চারটে পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকতে হবে। বিভিন্ন রেশনের দোকানে হানা দিয়েও ওজন যন্ত্র ঠিকঠাক রয়েছে কি না দেখা হয়। খোঁজ নেওয়া চাল, গম ঠিকঠাক মিলছে কি না। এলাকায় খোঁজ নিয়ে মহকুমাশাসক জানতে পারেন, রেশনে সস্তায় মাল কিনে অনেকে বেশি দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। রেশনের মাল কেনার জন্য বহু ফোড়ে এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘোরে বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি করেন, এর ফলে লিটার প্রতি ১৩ টাকার কেরোসিন তেল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন গুণ দরে। অভিযান চলাকালীন রাস্তা, নলকূপ, নালার সমস্যার কথাো জানান বাসিন্দারা।

সম্প্রতি কালনার চা গ্রামে পরিদর্শনের সময় এলাকার মানুষ মহকুমাশাসককে অভিযোগ করেন, দুটি মুদিখানা দোকান থেকে অবৈধ ভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে। ফলে বাড়ছে নেশার পরিমাণ। অভিযোগ শোনার পরে মহকুমাশাসকের নির্দেশে দোকান দুটি সিল করে দেওয়া হয়। মহকুমাশাসক নিতীন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘প্রতিটি পঞ্চায়েতেই অভিযান হবে। অসঙ্গতি দেখলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement