প্রতীকী ছবি।
বিজেপির রাঢ়বঙ্গ জ়োনের সাতটি সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বকে নিয়ে দু’দিনের বৈঠক শেষ হল বৃহস্পতিবার। বিজেপি সূত্রের খবর, দুর্গাপুরে আয়োজিত ওই বৈঠকে এ দিন চারটি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে এক-এক করে বৈঠক করেন বিজেপির বিশেষ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক তথা উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বির সাংসদ বিনোদকুমার সোনকার। সংগঠনের কোথায় কী খামতি, তা কী ভাবে পূরণ করা যাবে— এমন নানা বিষয়ে তিনি নির্দেশ দেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বুধবার বিনোদবাবু তিনটি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের ‘রাঢ়বঙ্গ জ়োন’ অর্থাৎ পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, এই পাঁচটি জেলায় সাতটি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে দলের। এই জেলাগুলিতে মোট ৫৭টির মধ্যে আগামী বিধানসভা ভোটে ৫০টি আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোনোর কথাও জানিয়েছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক প্রস্তুতি কোন জায়গায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এসেছেন বিনোদবাবু। বুধবার তিনি বীরভূম, বর্ধমান ও কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবার তিনি বৈঠক করেন আসানসোল, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়া জেলার নেতাদের সঙ্গে।
বিজেপি নেতৃত্ব জানান, এ দিন বিনোদবাবু সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত টানা বৈঠক করেন। প্রতিটি জেলার নেতাদের সঙ্গে আলাদা-আলাদা করে কথা বলেন। বিধানসভা ধরে-ধরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা হয়। আলোচনা হয় প্রতিটি বিধানসভার বুথ ধরেও। কোন বুথে সংগঠন ভাল, কোথায় এখনও সেভাবে সংগঠন গড়ে ওঠেনি, এ সব বিষয়ে খোঁজখবর করা হয়। পরে বিনোদবাবু সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, ‘‘দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সকালে দুর্গাপুরে ঘুরেছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। একটা জিনিস পরিষ্কার, রাজ্য থেকে তৃণমূলের সরকারকে উৎখাত করার সিদ্ধান্ত রাজ্যের মানুষ নিয়ে নিয়েছেন।’’ তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, ‘‘এ সব দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। করোনা পরিস্থিতিতেও আমরা সবসময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। তখন ওঁরা কোথায় ছিলেন? মানুষ ওঁদের পাশে নেই, সেটা এখনও ওই দলের নেতারা বুঝতে পারছেন না।’’