ভাতারের নাসিগ্রামে সিপিএমের ব্যানার। নিজস্ব চিত্র
মানুষের কাছে ‘ক্ষমা’ চেয়ে ব্যানার টাঙিয়েছে সিপিএম! তাতে লেখা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের ‘সমর্থন’ তাদের পক্ষে থাকলেও, গণনাকেন্দ্রে ‘গুন্ডামি’ ও ‘অত্যাচারের’ জন্য তারা তা রক্ষা করতে ‘ব্যর্থ’ হয়েছে। ভাতারের বড়বেলুনের নাসিগ্রামে সিপিএমের এই ব্যানার চোখ টানছে মানুষের। অনেকেই বলছেন, তৃণমূলের নাম না করে তাদের ‘খোঁচা’ দেওয়ার এই কৌশল বেশ অভিনব। সিপিএমের প্রচারকে ‘নাটক’ আখ্যা দিয়েছে তৃণমূল।
নাসিগ্রাম এলাকাটি বড়বেলুন ২ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। বারো আসনের বড়বেলুন ২ পঞ্চায়েতের আটটি আসনে জয়ী (জয়-পরাজয় অবশ্য নির্ভর করছে পঞ্চায়েত মামলা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের উপরে) হয়েছে তৃণমূল। বাকি চারটি আসন পেয়েছে সিপিএম। পঞ্চায়েতের সবচেয়ে বড় এলাকা নাসিগ্রামে আটটি গ্রাম সংসদের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে পাঁচটি। তিনটি জিতেছে সিপিএম।
ভাতারের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তথা দলের জেলা কমিটির সদস্য সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘‘বড়বেলুন ২ পঞ্চায়েতে জয় সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলাম আমরা। কমপক্ষে আটটি আসনে আমাদের জয় নিশ্চিত ছিল।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভোটের দিন মুরারীপুর গ্রামের আসনটিতে অবাধে ছাপ্পা মেরেছে তৃণমূল। মাধপুর গ্রামের একটি আসনে আমাদের প্রার্থী এক ভোটে হেরেছেন। পুনর্গণনার দাবি মানা হয়নি।’’ সুভাসের সংযোজন: ‘‘গণনাকেন্দ্রে ব্যালটের বান্ডিল পাল্টে দেওয়া হয়েছে, হুমকি দেওয়া হয়েছে এজেন্টদের।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মানুষের দেওয়া ভোট আমরা রক্ষা করতে পারিনি। সে কারণে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছি।’’ বামেদের প্রতি ‘সমর্থন’ জানানোয় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথাও ব্যানারে লিখেছে সিপিএম।
সিপিএমের এই প্রচার গ্রামবাসীর মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির অপচেষ্টা বলে দাবি তৃণমূলের। ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড়বেলুন ২ পঞ্চায়েতে বিরোধীরা একটি আসন পেয়েছিল। এ বার পেয়েছে চারটি। তার পরেও সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা মূর্খের কাজ।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ভাতারের প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতে মানুষ বিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা পরাজয় মেনে নিতে পারছে না। এ ধরনের পোস্টার দিয়ে লাভ হবে না। মানুষ ওদের নাটক বুঝে গিয়েছেন।’’