—প্রতীকী ছবি
আগামী বছরের গোড়ায় জেলায় এসে পৌঁছতে পারে কোভিড টিকা, জানিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর। টিকা প্রথম কারা পাবেন, কোথায় কী ভাবে টিকা মজুত করা হবে, সে রূপরেখাও তৈরি হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, প্রথমে জেলার ১৬ হাজার জন কোভিড-যোদ্ধা টিকা পাবেন। তাঁদের নামের তালিকা করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, কোভিড সংক্রান্ত টিকা ও ‘কোল্ড চেন’-এর প্রশিক্ষণের জন্য জেলাগুলিকে তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি জেলা রয়েছে বর্ধমান বিভাগের মধ্যে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, টিকা কবে জেলায় পৌঁছবে, সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু সরকারি নির্দেশেই প্রাথমিক কাজ সেরে রাখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককেই প্রথমে কোভিড টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছেন, চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। পাশাপাশি, ব্লক থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত কোভিড টিকা মজুত করার জন্য জেলায় ২৮টি ‘কোল্ড চেন পয়েন্ট’ তৈরি করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।
তবে রাজ্য সরকারের কোভিড ম্যানেজমেন্ট কমিটির পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের কো-অর্ডিনেটর সমরেন্দ্রকুমার বসু বলেন, ‘‘কোভিড টিকা নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।’’ এ বিষয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফোন ও মেসেজের উত্তর দেননি পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাঝি।
এ দিকে, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় আসানসোল ও দুর্গাপুরের দু’টি হাসপাতালকে কোভিড-হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। এর মধ্যে আসানসোলের ও দুর্গাপুরের হাসপাতালে যথাক্রমে একশো ও দু’শোটি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। এই মুহূর্তে আসানসোলের কোভিড-হাসপাতাল বন্ধ। দুর্গাপুরেও কোভিড-হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা কমানো হয়েছে। তবে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ৬০ শয্যার একটি কোভিড-ওয়ার্ড বানানো হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘একটি পর্যবেক্ষক দল হাসপাতাল পরিদর্শন করে গিয়েছে।’’