ঝুলছে নোটিস। নিজস্ব চিত্র
করোনা নিয়ে সতর্কতায় কালনার ১০৮ শিবমন্দির ও রাজবাড়ি চত্বরে তালা ঝোলাল পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)। মন্দিরের সামনের দরজায় নোটিস ঝুলিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দিরের দরজা। এই সিদ্ধান্তে তাঁরা খানিক স্বস্তি পেয়েছেন বলে দাবি শহরের বাসিন্দাদের অনেকের। বিদেশি পর্যটক আসা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আপত্তি তুলছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন পর্যটককে ফিরিয়েও দেওয়া হয়।
কালনা শহরে ওই সব মন্দির দেখতে সারা বছর বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। মন্দির পরিদর্শন শেষে পর্যটকদের অনেকে শহরের চকবাজারও ঘুরে দেখেন। এলাকার অনেকের আশঙ্কা ছিল, এত বিদেশির আনাগোনার মাধ্যমে এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। মঙ্গলবার সকালে শহরের কাঠিগঙ্গা ঘাটে একটি লঞ্চে বিদেশি পর্যটকদের নামতে না দিয়ে তাঁদের ফেরত পাঠান স্থানীয় কিছু মানুষজন। এর পরেই প্রশাসনিক মহলে বিষয়টি নিয়ে নড়াচড়া শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর থেকে বিদেশি পর্যটক বোঝাই একটি লঞ্চ কাঠিগঙ্গা ঘাটে এসেছিল। মঙ্গলবার সকালে ওই বিদেশিরা লঞ্চ থেকে নামতে চাইলে আপত্তি জানান এলাকার বেশ কয়েকজন। বিষয়টি কানে যেতে কালনার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরজিৎ হালদার ঘটনাস্থলে যান। তিনি প্রশাসনের কর্তাদের বিষয়টি জানান। এর পরে বিদেশি পর্যটকদের ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন কাউন্সিলর। তার পরেই লঞ্চটি ফিরে যায়। এই ঘটনার পরে প্রশাসনিক মহলে নড়াচড়া শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। মহকুমাশাসক (কালনা) সুমনসৌরভ মোহান্তি আশ্বাস দেন, বিষয়টি তিনি জেলা প্রশাসনের নজরে আনবেন।
বুধবার সকালেই ১০৮ শিবমন্দির ও রাজবাড়ি চত্বরে ঢোকার মুখে নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাতে এএসআই-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মন্দিরগুলিতে প্রবেশ, ছবি তোলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা যাবে না। মন্দিরগুলির বিভিন্ন দরজার সামনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এএসআই-এর এক কর্মী জানান, সকাল থেকে বহু মানুষ মন্দির দর্শনেও এসেও ফিরে গিয়েছেন। তাঁদের বোঝানো হয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে এমন নির্দেশিকা জারি করতে হয়েছে। মহকুমাশাসক জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।