Bardhaman

জেলা পরিষদে প্রার্থী ঘোষণা সিপিএমের, ক্ষুব্ধ কংগ্রেস

ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্য চারটি, আরএসপি এবং সিপিআইয়ের জন্য একটি করে আসন ছেড়েছে সিপিএম। একটি আসন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৩ ০৯:৩৬
Share:

চলছে প্রার্থী ঘোষণা। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে জেলা পরিষদের সব আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল সিপিএম। শুক্রবার বিকেলে দলের বর্ধমান জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক হয়। দলের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন জানান, জেলা পরিষদের ৬৬টি আসনের মধ্যে ৬১টিতে লড়বে সিপিএম। ছ’টি আসন শরিকদের জন্য ছেড়ে রাখা হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বা প্রধান বিরোধী দল বিজেপি’র আগে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করে বামেরা রীতিমতো চমক দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি জেলা পরিষদ স্তরে বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা বা জোট হচ্ছে না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জেলা পরিষদ স্তরেও আলোচনার সুযোগ রয়েছে।’’ অন্য দিকে, সিপিএম একতরফা প্রার্থী ঘোষণা করায় অসন্তুষ্ট জেলা কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য গৌরব সমাদ্দারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের সঙ্গে প্রার্থী বাছাই নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। আমরাও জেলা পরিষদের প্রার্থী ঘোষণা করব।’’

Advertisement

ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্য চারটি, আরএসপি এবং সিপিআইয়ের জন্য একটি করে আসন ছেড়েছে সিপিএম। একটি আসন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিপিএম জানিয়েছে, দ্রুত সব পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হবে। সিপিএমের প্রার্থিতালিকায় নাম রয়েছে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহ-সভাধিপতি মণিমালা দাসের। তিনি গলসি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মণিমালার কথায়, ‘‘রাজ্যের মানুষের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হয়নি। আমরা তাঁদের লড়াই লড়ব।’’ প্রার্থী করা হয়েছে খণ্ডঘোষের অসীমা রায়কে। গত বিধানসভা নির্বাচনে খণ্ডঘোষ থেকে লড়েছিলেন তিনি। তার আগে কৈয়র পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। তিনি প্রধান থাকাকালীন (২০০৮-২০১৩) মহিলা পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতকে ‘মডেল পঞ্চায়েত’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। অসীমার অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল জমানায় সব পঞ্চায়েতে দুর্নীতি ও চুরি হয়েছে। একশো দিনের কাজের বকেয়া মজুরি আদায় এবং আর্থসামাজিক পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টি প্রচারে তুলব। গলসির কাজি জীবন্নেশা খানো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। তাঁকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। জীবন্নেশার অভিযোগ, ‘‘লাগামছাড়া দুর্নীতি করেছে শাসক দল। দুর্নীতির পাশাপাশি নারী নিরাপত্তার বিষয়টি প্রচারে তুলে ধরা হবে।’’

সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থিতালিকায় হেভিওয়েট বলে কেউ নেই। যাঁরা সারা বছর মানুষের অভাব-অভিযোগ নিয়ে মাঠে-ময়দানে লড়াই করেন, তাঁরাই পঞ্চায়েতে মানুষের কথাকে তুলে ধরার জন্য লড়াই করবেন।’’ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাসের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বাম আমলে কী হয়েছিল, মানুষ ভোলেনি। পঞ্চায়েত ভোটেও মানুষ আমাদেরই সমর্থন করবেন।’’ শাসক শিবিরের দাবি, তারাও খুব দ্রুত প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement