বারবার এমন ঘটনায় ক্ষোভ

দেওয়াল কেটে ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টা

দিন দশেক আগে ওই এলাকারই অন্য একটি ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে চুরির অভিযোগ ওঠে। টিনের চাল কেটে ল্যাপটপ, নগদ টাকাপয়সা চুরি করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বারবার লুটের চেষ্টা হলেও গা করছেনা পুলিশ, প্রশাসন। পুলিশের নজরদারি, নিরাপত্তা বাড়ানোরও দাবি করেছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:০০
Share:

দেওয়ালে গর্ত। নিজস্ব চিত্র

ব্যাঙ্কের শৌচাগারের দেওয়ালে গর্ত করে, কোলাপসিবল গেট ভেঙে লুটের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কেতুগ্রামের আনখোনায়। বুধবার রাতের ঘটনা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই শাখার ম্যানেজারের দাবি, ব্যাঙ্কের ভেতরে একটি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মুখ ঘোরানো রয়েছে। তবে কোনও নথি বা টাকাপয়সা খোয়া যায়নি।

Advertisement

দিন দশেক আগে ওই এলাকারই অন্য একটি ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে চুরির অভিযোগ ওঠে। টিনের চাল কেটে ল্যাপটপ, নগদ টাকাপয়সা চুরি করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বারবার লুটের চেষ্টা হলেও গা করছেনা পুলিশ, প্রশাসন। পুলিশের নজরদারি, নিরাপত্তা বাড়ানোরও দাবি করেছেন তাঁরা।

এ দিন আনখোনার ওই ব্যাঙ্কের শাখার কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ভবনের মালি আবুল হায়াতের কাছে খবর পেয়ে তাঁরা ব্যাঙ্কে এসে দেখেন যে পিছন দিকের শৌচাগারের দেওয়ালে ফুট দুয়েকের গর্ত করা রয়েছে। দেখা যায়, কোলাপসিবল গেটের তলার দিকটাও ভাঙা। তবে ব্যাঙ্কের কোনও টাকা বা নথি খোয়া যায়নি। ম্যানেজার চন্দন বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, ব্যাঙ্কের ভেতরের সাতটি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে। তার মধ্যে একটির মুখ ঘোরানো রয়েছে। চন্দনবাবু জানান, ওই শাখায় ৫২ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। আনখোনা ছাড়াও আশপাশের আরনা, আমগড়িয়া, চিনিশপুর-সহ পাশের মুর্শিদাবাদ জেলার গিধগ্রাম, ভরতপুরেরও বেশ কিছু গ্রাহক রয়েছেন ওই ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্ক যতক্ষণ খোলা থাকে ততক্ষণ ব্যাঙ্কের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও রাতে তাঁরা থাকেন না। রাতে আনখোনা, চাকটা বাসস্ট্যান্ডে ভিলেজ ও সিভিক পুলিশ টহল দেয়।

Advertisement

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দেওয়াল কেটে ভেতরে ঢুকে চুরির ঘটনা ঢাকতেই সিসিটিভির মুখ ঘুরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ক্যাশঘরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করলেও লকার ভাঙতে পারেনি। পুলিশের দাবি, এলাকাটি বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ লাগোয়া। ফলে দুষ্কর্ম ঘটিয়ে অনেক সময়েই ভিন্‌ জেলায় পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে রাতে মোবাইল ভ্যানে এলাকার টহল দেওয়া বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement