প্রতীকী ছবি
তদন্তকারী সংস্থার তরফে তাঁকে আর নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন করা হয়নি। আবার তাঁর জামিনের জন্যও কোনও আবেদন আসেনি। এই অবস্থায় বিশেষত প্রবীণ নাগরিকদের প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত শান্তি সুরানাকে জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর বিশেষ আদালতের বিচারক পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী। রাজ্যের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার হেফাজত থেকে ওই অভিযুক্তকে বুধবার বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল।
বিশেষ সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই অভিযুক্ত ১৩ দিন পুলিশি হাজতে ছিলেন। তাঁকে আর জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। সেই জন্য ফের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ চেয়ে এ দিন কোনও আবেদন করা হয়নি।’’ এ দিন শান্তির আইনজীবীরা জামিনের আর্জি করেননি। ওই আইনজীবীদের আবেদন, তাঁদের মক্কেল অসুস্থ। তাঁর কিছু শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা যায়, সেই অনুমতি দেওয়া হোক।
রাধাকান্তবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ হাজতে থাকাকালীন ওই অভিযুক্তকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি শারীরিক পরীক্ষা করাতে রাজি হননি।’’ তার পরেই বিচারক বেসরকারি হাসপাতালে ওই অভিযুক্তের শারীরিক পরীক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন।
আর্থিক প্রতারণার মামলার যোগসূত্রে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সুরানার বাড়ি ও অফিস থেকে প্রচুর প্যান কার্ড, সম্পত্তির দলিল এবং বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আয়কর দফতরের তরফেও বহুমূল্য গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । মামলার তদন্তকারী অফিসার জানান, আটক নথিপত্র যাচাই হচ্ছে।