আগুন আর অধীর! অদ্ভুত সমাপতন ভাঙড়ে!
বিতর্কিত পাওয়ার গ্রি়ড সাব-স্টেশনে আগুন দেখা গেল বিকালে। তার আগেই ভাঙড়ে রাজনৈতিক প্রতিবাদের ইন্ধন জুগিয়ে মিছিল হয়েছিল কংগ্রেসের। প্রতিবাদের ধোঁয়া দেওয়ার পরেই আগুনের সন্ধানে স্বভাবতই রহস্যের গন্ধ পেতে শুরু করেছিলেন কেউ কেউ! পুলিশ ও দমকল আসার পরে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আগুন নেহাতই চোরেদের কীর্তি! আগুন আর রাজনীতির ধোঁয়ার কার্যকারণ সম্পর্ক নেই।
ভাঙ়ড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের দাবি, গ্রামবাসীরাই দেওয়াল টপকে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, সাব-স্টেশনের ভিতরে পলিথিনের আস্তরণ সমেত প্রায় ৭০টি তামার তারের রোল রয়েছে। যার মূল্য কোটি টাকার কাছাকাছি। তামা থেকে পলিথিন ছাড়িয়ে নিয়ে পালানোর জন্যই আগুন ধরানো হতে পারে। পাওয়ার গ্রিড কর্তারাও সাব-স্টেশনে আসেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। বারুইপুর জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘পাওয়ার গ্রিডের নিরাপত্তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’’
অগ্নিকাণ্ডের দিনই ভাঙড়ে তাপস মজুমদার, ওমপ্রকাশ মিশ্র, আখরুজ্জামান, মিলটন রশিদ, ফিরোজা বেগমদের নিয়ে পাঁচ কিলোমিটার বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মিছিলে দেখা যায় নিহত মফিজুলের বাবা শুকুর আলি খানকে। অধীরবাবুর হুঁশিয়ারি, ভাঙড়ের নিরীহ গ্রামবাসীদের ইউএপিএ থেকে মুক্তি না দিলে কলকাতার রাজপথে অবস্থান-অনশন হবে। অধীরবাবু বলেন, ‘‘দিদি পাহাড় জ্বালিয়ে সমতলে নেমে ভেনেজুয়েলা-তত্ত্ব বার করলেন! দিদির তাজা নেতারা বোমা-বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আর বাসি নেতারা সারদা-নারদ করে ভুবনেশ্বরে পচে মরে!’’