স্বামীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্ত্রী

মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। শুক্রবার রাতে স্বামী টলতে টলতে বাড়ি ফিরে অশান্তি শুরু করতেই আর স্থির থাকতে পারেননি সরস্বতী বর্মণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জগদ্দল শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩১
Share:

মদ্যপ স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। শুক্রবার রাতে স্বামী টলতে টলতে বাড়ি ফিরে অশান্তি শুরু করতেই আর স্থির থাকতে পারেননি সরস্বতী বর্মণ। অভিযোগ, দীর্ঘ দিনের জমে থাকা রাগ মেটাতে দরজার খিল দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করেন।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দলের নেতাজিপল্লিতে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম দিলীপ বর্মণ (৫০)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করে ছেলে গোবিন্দ। থানার সামনে গোবিন্দর উপরে চড়াও হয়ে মারধর করতে থাকেন দিলীপবাবুর বোনের ছেলে ও কয়েকজন আত্মীয়। সে সময়ে স্থানীয়রা গোবিন্দকে বাঁচান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপবাবুর মাছের ব্যবসা কাউগাছি বাজারে। রোজকার মতো এ দিনও বাড়িতে এসে স্ত্রীর উপরে চড়াও হয় দিলীপ। এরপরেই ওই ঘটনা।
ছেলে গোবিন্দ বলেন, ‘‘মা আর সহ্য করতে না পেরে বাবাকে আঘাত করেছিল। মায়ের উপরে অত্যাচার হতো। তবে বাবা যে মারা যাবেন, মা তা বুঝতে পারেনি।’’ পরিবারটি যে বাড়িতে ভাড়া থাকত, সেই বাড়ির মালিক কালীকিঙ্কর সাঁতরা বলেন, ‘‘নেশা করা আর বৌ পেটানোটা রোজকার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল ওই মাছ ব্যবসায়ীর। আমরা প্রথমে আপত্তি করেছি। বুঝিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’
শৌচাগারে শেড নেই। শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু কোনও শেড নেই। রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ফলতার ১১৭ ন‌ম্বর জাতীয় সড়কের দোস্তপুরের মোড়ের পাশে শৌচাগারটি ব্যবহার করতে হয় বলে অভিযোগ। ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মঞ্জু নস্কর বলেন, ‘‘টাকা পেলেই কাজ শুরু করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement