ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার নারী পাচার-চক্রের দুই পাণ্ডা। রামমূর্তিনগর এলাকা থেকে ওই দুই জনকে হাতেনাতে ধরল বারুইপুর মহিলা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করে নারী পাচার-চক্রে দুই অভিযুক্তকে বারুইপুরে এনে রবিবার দুপুরে তাঁদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের নাম কিরণ কুমার ও গোমতি ইশ্বরী ওরফে নিশা কুমারী।
২০১৯ সালের ঘটনা। বাসন্তী থানা এলাকার এক নাবালিকাকে প্রথমে বেহুঁশ করে মুখে কাপড় বেঁধে অপহরণ, তার পর কয়েক লক্ষ টাকায় ব্যাঙ্গালুরু নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবস্থায় নামানোর অভিযোগ ওঠে আবেদ মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে আবেদকে গ্রেফতার করে বাসন্তী থানার পুলিশ। কিন্তু আদালতে অভিযুক্তের জামিন হয়ে যায়। এর পরেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার। উচ্চ আদালতের নির্দেশেই নতুন করে শুরু হয় তদন্ত। বারুইপুর মহিলা থানার আইসি কাকলি ঘোষ কুণ্ডুর হাতে তদন্তের ভার পড়ে। তদন্তে সাহায্য করে এক বেসরকারি সংস্থাও।
ওই ঘটনার তদন্তে নেমেই কাকলির নেতৃত্বে তদন্তকারীদের দল ব্যাঙ্গালুরুর রামমূর্তিনগরের এক অভিজাত আবাসন থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত কিরণকে পাকড়াও করে। তার পরেই পুলিশের জালে ধরা দেয় সঙ্গী গোমতী। ১১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ব্যাঙ্গালুরুর আদালতে তোলা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনা হয় বারুইপুরে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই নাবালিকাকে জয়ন্তীনগরে বিক্রি করা হয়েছিল। রাতে অপারেশন চালাত দুই অভিযুক্ত। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বেশ কিছু রাজ্য থেকে নাবালিকাদের অপহরণ করে এনে দেহ ব্যবসায় নামাতেন অভিযুক্তরা।