অজানা জ্বরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে বসিরহাটে। গত কয়েক দিনে মৃত্যু হয়েছে দুই বালিকার।
বসিরহাট মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে মারা যায় বসিরহাট পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সনিয়া খাতুন (১০)। গত শনিবার ওই হাসপাতালেই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় আনিশা খাতুন (৯)। তার বাড়ি বসিরহাট ২ ব্লকের কচুয়ার বিশপুর গ্রামে।
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি পরিবার দু’টির। বসিরহাট স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, মেয়ে দু’টি জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ঠিকই। তবে তাদের মৃত্যু ডেঙ্গিতে হয়েছে কিনা, সেই রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি।
গত কয়েক মাস ধরে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে জ্বরের প্রকোপ চলছে। ইতিমধ্যেই বাদুড়িয়া এবং বসিরহাট ২ ব্লক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এ দিকে ধান্যকুড়িয়া এবং রুদ্রপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সব এলাকায় জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির জন্য ভিড় বাড়ছে।
বসিরহাট উত্তরের বিধায়ক রফিকুল ইসলাম জানান, ধান্যকুড়িয়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার তেমন দেখা যাচ্ছে না। স্থানীয় বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে রক্তে ডেঙ্গির উপসর্গ মিললেও সরকারি ভাবে তা মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, বেসরকারি ভাবে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট তাঁদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। তাই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হলেই তাঁর রক্ত পরীক্ষার জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠানো হয়। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষার কোনও পরিকাঠামো না থাকার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি।
এ দিকে অসুস্থ মানুষের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করে রোগীর রক্ত বারাসত থেকে পরীক্ষা হয়ে রিপোর্ট আসতে আসতে অনেক দেরি হচ্ছে। ফলে সঠিক ওষুধ প্রয়োগে দেরি হয়ে যাচ্ছে। তার ফলেই মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে অনেকের।