তখনও চলছে বিক্ষোভ সমাবেশ। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
কংগ্রেস পরিচালিত জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে মঙ্গলবার পুরসভার ভিতরে ঢুকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে মাইক ফুঁকে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। পুরসভা চত্বরের মধ্যে এই বিক্ষোভকে ‘সংবিধান বিরোধী’ বলে দাবি করেছে কংগ্রেস।
জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার কংগ্রেস পুরপ্রধান সুজিত সরখেলের দাবি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঢুকে এ ভাবে সভা করা সংবিধান বিরোধী। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমি এবং আমার কাউন্সিলাররা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। যে কোনও সময়ে সরকারি নথি লোপাট করা হতে পারে। পুরো বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’’ পুলিশের অবশ্য দাবি, তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ আসেনি। এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ পুরসভার মূল দরজা দিয়ে ঢুকে বিক্ষোভ শুরু হয়। নেতৃত্বে ছিলেন ওই পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও বর্তমান কাউন্সিলর ফরিদা বেগম। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, এলাকার নিকাশি নালা সাফাই হচ্ছে না, ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়াও, পুরসভার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ করেন তারা। বিকেল ৩টে পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। জয়নগর শহর তৃণমূল সভাপতি প্রবীর চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, পুরসভার বাইরে কুলপি রোডে সভা করলে যানজট হতো। তাই পুরসভার ভিতরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।
বারুইপুর মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, বিক্ষোভ সভা নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি।