মিড ডে মিল চালাতে নাজেহাল স্কুল

বাকিতে কেনা হয়েছে আলু। তা দিয়েই হচ্ছে রান্না। অন্য কোনও সব্জি কেনার মতো টাকাও নেই। কিন্তু এ ভাবে দিনের পর দিন মিড ডে মিল চালাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে স্কুলগুলি।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৮
Share:

বাকিতে কেনা হয়েছে আলু। তা দিয়েই হচ্ছে রান্না। অন্য কোনও সব্জি কেনার মতো টাকাও নেই। কিন্তু এ ভাবে দিনের পর দিন মিড ডে মিল চালাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে স্কুলগুলি।

Advertisement

এই সমস্যার কোনও আশু সমাধানও দেখতে পাচ্ছেন না কাকদ্বীপের কেউ। প্রয়োজনে নিজের গ্রুপের মহিলাদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কেনাকাটা চলছে মিড ডে মিলের জন্য।

কাকদ্বীপ শিশুশিক্ষায়তনের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ প্রামাণিক বলেন, ‘‘যত দিন আলুওয়ালা বাকিতে দেবে, তত দিনই বাচ্চাদের মিড ডে মিল খাওয়াতে পারব। কারণ, যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রান্নার কাজ করছে, তাঁরা আর বাকিতে সব্জি আনতে পারছে না। এখন কেবল আলুর ঝোলই খাওয়াতে হচ্ছে বাচ্চাদের।’’ একঘেয়ে খাবারে অরুচি ধরেছে বাচ্চাদের, জানালেন তিনি।

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের তরফে সমস্ত স্কুলে নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, যে সমস্ত স্কুলে ১০০ জন বাচ্চার রান্না হয় তাদের মিড ডে মিলে আলু ছাড়াও দু’রকমের মরসুমি সব্জি রাখতে হবে। কিন্তু তা অনেক স্কুলের ক্ষেত্রেই মানা সম্ভব হচ্ছে না। একে টাকার অভাবে সব্জির জোগান কম। তার উপরে বিয়ের মরসুমে গত সপ্তাহের পর থেকে কাঁচা সব্জির দামও বেড়েছে। কাকদ্বীপের এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রধান সুষমা দাস জানান, বাকিতে এখনও কিছু দোকানদার মাল দিচ্ছে। কিন্তু তাঁরাও তাগাদা করছে টাকার জন্য। গোষ্ঠীর মহিলাদের থেকে টাকা ধার নিয়ে চালাতে হচ্ছে। কিন্তু এ ভাবে আর ক’দিন!

প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামের দিকে পরিস্থিতি আরও খারাপ। সাগরের একটি প্রাথমিক স্কুলের খাবারের দায়িত্বে থাকা এক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রধান আভারানি মণ্ডল বলেন, ‘‘ডিমওয়ালা এসে পাওনা টাকা চাইছে। বাচ্চাদের জন্য সপ্তাহে একদিন ডিমের ব্যবস্থাও করতে পারছি না।’’

চালের ওজনে কারচুপির অভিযোগ। মিড-ডে মিলের চাল ওজনে অনেক কম পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন হুগলির সিঙ্গুরের দিয়ারার গোবিন্দপুর এসি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল সূত্রের খবর, সিঙ্গুর ব্লক অফিসের মাধ্যমে সোমবার ৬০টি চালের বস্তা আসে। প্রতি বস্তায় ৫০ কিলোগ্রাম চাল থাকার কথা। শুক্রবার একটি বস্তা খোলার সময় প্রধান শিক্ষকের সন্দেহ হয়। পাশের দোকান থেকে দাঁড়িপাল্লা এনে ওজন করে দেখা যায়, ওই সমস্ত বস্তায় চালের পরিমাণ অনেক কম রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement